সংবাদদাতা, কাটোয়া : বিদায়ের মুখে ‘উপহার’ বর্ষার। বৃষ্টির ঘাটতি সম্পূর্ণ পূরণ না হলেও কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের মুখে স্বস্তির হাসি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফাটল-ধরা আমনের জমিতে কাজ চলা গোছের জল মিলেছে। বিভিন্ন জলাশয় ও নয়ানজুলিতেও জল। ফলে পাট পচানোর কাজ সহজ হয়েছে। মরশুমের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতি আর ডিভিসি-র প্রতিশ্রুতিমতো সেচের জল না দেওয়ায় বহু এলাকা অনাবাদী থাকার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বহু কৃষক চড়া দরে ভূগর্ভের জল কিনে কোনওরকমে ধান রোয়ার কাজ সেরেছেন। সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বস্তি, ‘আর জল কিনে সেচ দিতে হবে না।’ দেরিতে হলেও বৃষ্টি নামায় অনেক কৃষক চাষ না হওয়া জমিতে চাষ দিয়েছেন। ফলে জেলায় চাষের এলাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন-চিন-সীমান্তে নজরদারি, সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা কেন্দ্রের
পূর্ব বর্ধমান জেলায় আমন চাষ হয় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রের হিসেব, মরশুমের শেষবেলার বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা গিয়েছে। তবে গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় এখনও প্রায় ২২ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, সামনে আরও দুটি নিম্নচাপের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ধানে লাভ হলেও আমনের বদলে যাঁরা ফুলকপি, মুলো, পালংশাক-সহ বিভিন্ন জলদি জাতের আনাজ চাষ করেছিলেন, সেসব আনাজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।