চিন-সীমান্তে নজরদারি, সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা কেন্দ্রের

ফলে তারা সক্ষম সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণ করতে। কেন্দ্রের বক্তব্য, অনেক দেশেই সেনাবাহিনীকে পিছনে রেখে সামনে থেকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকে বিশেষ বাহিনী।

Must read

নয়াদিল্লি : ভারত-চিন সীমান্তে কোন বাহিনী টহলদারির নেতৃত্বে থাকবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আইটিবিপি নাকি সেনাবাহিনী, কোন ‘ফোর্স’ টহলদারির মুখ্য দায়িত্বে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের অন্দরে টালবাহানা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চায়, আইটিবিপি বা ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশই চিন-সীমান্তে টহলদারির দায়িত্বে থাকুক। এদিকে এর বিরোধিতা করছে সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনা চায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকুক টহলের মূল দায়িত্ব এবং আইটিবিপিকে নিয়ন্ত্রণের ভার। চিন ও ভুটানের সঙ্গে ভারতের যে সীমান্ত রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে একসঙ্গে টহলদারি চালায় আইটিবিপি এবং সেনাবাহিনী। আইটিবিপিকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেনাবাহিনী থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে।

আরও পড়ুন-শিক্ষকের বেধড়ক মারে প্রাণ গেল দলিত ছাত্রের

২০২০ এর মে এবং জুন মাসে লাদাখে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত এবং চিনা সেনা। বিভিন্ন টহলদারি এলাকা-সহ নানা জায়গায় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। ২০২০ সালে চিনা সেনার বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপের জন্য আইটিবিপির ২০ জন জওয়ানকে পুরস্কৃতও করা হয়। আইটিবিপিকে আরও সক্রিয় করে তোলার পিছনে সরকারের যুক্তি, এই বাহিনী আদতে একটি পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন-টাকার পতন থামছেই না

ফলে তারা সক্ষম সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণ করতে। কেন্দ্রের বক্তব্য, অনেক দেশেই সেনাবাহিনীকে পিছনে রেখে সামনে থেকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকে বিশেষ বাহিনী। যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাবাহিনীকে নেতৃত্বে রাখা উচিত এবং অসম রাইফেলসের মতোই আইটিবিপিকে এর অধীনে রাখা দরকার। ২০১৫ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে একই প্রস্তাব দেয় সেনাবাহিনী। প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন সেই সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করও। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।

Latest article