শিল্পী সিংহরায়, ফিলাডেলফিয়া: চারদিন নয়, উইকেন্ডেই আমাদের পুজো। দেশের পুজোর সঙ্গে প্রায় কোনও কিছুই মেলে না। তবে একটি বিষয়ে খুব মিল। তৃতীয়া বা চতুর্থীর দিন পাড়ার পুজোয় প্রতিমা আসেন। লেখাপড়া বা কর্মসূত্রে বাইরে আসার আগে আমিও যেতাম প্রতিমা আনতে। ট্রাকে করে। পাড়ার ছেলেমেয়েরা ক্লাবের মাঠে জড়ো হতাম। এরপর, ‘বল দুর্গা মাইকি… জয়…’ বলে আনা হত প্রতিমা। বাড়ি ছেড়ে, নিজের এলাকা ছেড়ে, সুদূর প্রবাসেও রয়েছে সেই চল। ফিলাডেলফিয়াতেও (Philadelphia- Durga Puja) ট্রাকে করে আসেন প্রতিমা। তবে পটুয়াপাড়া থেকে নয়। পুজো শেষে আমাদের প্রতিমা বিসর্জন হয় না। সংরক্ষণ করে রাখা হয় একটি স্টোররুমে। পুজোর (Philadelphia- Durga Puja) আগে একটি ট্রাকে করে সেখান থেকেই আনা হয় মা দুর্গাকে। কোনও বন্ধু বা দাদা সেই ট্রাক চালিয়ে মা-কে নিয়ে আসেন মণ্ডপে। এবার একটি বিরাট স্কুলে আমাদের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৭০০ জন একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন সেখানে। জুলাই মাস থেকেই আমাদের পজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আট থেকে আশি সকলেই পুজোর কাজে হাতে লাগান। মণ্ডপসজ্জা, ভোগ রান্না, অতিথি আপ্যায়ন প্রতিটি বিষয় আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিই। এখানে বাচ্চাদের অংশগ্রহণও দেখার মতো। সারাবছর ওদের লেখাপড়ার ব্যস্ততা থাকলেও পুজোয় মণ্ডপসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে ওরা। দু বছর কোভিডের কারণে পুজোর তেমন জাঁকজমক হয়নি। এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে জমিয়ে। সংঙ্গীতশিল্পী অন্বেষা, মধুর গৌরব কলকাতা থেকে আসছেন আমাদের গান শোনাতে। আমরা রয়েছি পুজোর অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন-ঘুরে দেখুন রাঢ়বাংলার দুর্গাপুজো