সন্তান, আত্মীয় স্বজন, পরিবার সব কিছু থেকেও তারা একা। দুর্গা পুজো, কালী পুজো সব উৎসবই তাঁদের কাছে আর পাঁচটা দিনের মতো। বৃদ্ধাশ্রমের সেই আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে চতুর্থীর সন্ধ্যায় চেতলার এক বৃদ্ধাশ্রমে পৌছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরেরই এক বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে সময় কাটালেন ।
আরও পড়ুন-উৎসবের আমেজে মেতেছে রাজ্যবাসী, চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ইন্দ্রনীল সেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য উপহারও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দ্রনীল সেন গান পরিবেশন করেন।
আজকের এই অভিজ্ঞতার কথা এর আগেও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এবার আশ্রমে আসতেই তাঁকে আবাসিকরা শাঁখ বাজিয়ে স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা গান পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যের দুই প্রস্তাবে এখনও নীরব বিচারপতি
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজো মাস্ক পরে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে চলতে হবে। নিজে ভাল থাকুন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। টিভি’তেও দেখুন।
অষ্টমীর দিন আবাসিকদের জন্য ভোগের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে। গত বছর থেকে এখানে শুরু হয়েছে পুজো। এদিন সেখানে আবাসিকদের পুজোর উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নিজের বাড়ির কালীপুজোয় যাওয়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-কাঁথির প্রজেক্ট পেতে হুমকি: নগদ ও ড্রাফটে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, হাইকোর্টের রায়ে তদন্তে পুলিশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি প্রতিবার আসি। এই জায়গায় না আসলে পুজোর আগমন বার্তা সমাপন হয় না। ইন্দ্রনীল, ববি ও আমি মা’কে হারিয়েছি। আপনারাই আমাদের মা। তাই পুজোর আগে আপনাদের প্রণাম জানাতে আসি। যখনই আসি, তখনই দেখে নিই ভিড়ের মাঝে পরিচিত মুখেরা আছে কিনা! কালীপুজোয় অবশ্যই যাবেন। পুজো তো এখন এখানে হয়। আমি প্রায় দেড় হাজার পুজো উদ্বোধন করেছি। তাতে আমার গলা চোকড হয়েছে।’