আজ মহাষষ্ঠীর বোধন দিয়ে শুরু হয়ে গেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। যদিও এখন পুজো আর চারদিনের নেই। মহালয়া থেকেই উদ্বোধন হয়ে গেছে অনেক পুজোর। উত্তর থেকে দক্ষিণ শুধুই উৎসবের মেজাজ। সেই মেজাজে শামিল সেলেবরা সেরে ফেলেছেন তাঁদের পুজোর সব প্ল্যান এবং প্রোগ্রাম। এই সময় রথ দেখা কলা বেচা দুইই হয় তাঁদের। লক্ষ্মী আসে ঘরে আবার পুজোর আনন্দে মিলেমিশে এক হয়ে যান আমজনতার মাঝে। এমন অনেক তারকাই আছেন যাঁরা হয়তো বিগত পনেরো-ষোলো বছর কলকাতার পুজো দেখেননি, কেউ বা বিগত দশ বছর। পুজোর সময় তাঁদের সিজন শুরু হয়। তাঁরা পুজো উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণে রাজ্যের বাইরে এবং বিদেশ চলে যান, কেউ বা দলের হয়ে স্পেশ্যাল ক্যাম্প করতে। কিন্তু হলই বা ব্যস্ততা, সবটাই মায়ের জন্যই তাই দেশে-বিদেশে যে যেখানেই থাকুন না কেন মায়ের মুখ দেখাটা মিস করেন না। মা-ই যে তাঁদের লক্ষ্মী। পুজোর উদ্বোধন, সেরা পুজোর বিচারক, আমন্ত্রণের শো এমনকী ক্রিকেট ক্যাম্প— সবকিছুর মাঝে সময় বের করে পুজোয় মেতে ওঠেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-টোকিওতে মহিলা পুরোহিত
সোনালি চৌধুরী
এবারেও সেরা দুর্গাপুজোর বিচারে পুজো পরিক্রমায় গিয়েছিলাম। প্রতিবছর এটা মিস করি না। ভীষণ ভাল লাগে। দারুণ নিশ্চিন্তে হইহট্টগোল বাদ দিয়ে ঠাকুর দেখা হয়ে যায়। এবছর আমার বাদবাকি পুজোর সব প্ল্যানিং আমার ছেলেকে নিয়েই। গতবছর পুজোর সময় ওর বয়স ছিল চারমাস তাই বেরোনো হয়নি। এবার বেরোব। রজত ভিড়ে বেরোতে চায় না। ও বাড়িতে থাকতেই ভালবাসে। বাড়িতে বন্ধুবান্ধব আসে। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে পুজোর মধ্যে থাকতেই ভাল লাগে। তাই আমার মায়ের বাড়ি যাব। বেহালায় আমার পাড়ার পুজোতে বেশিরভাগ সময়টা কাটাই। খুব আনন্দ হয়। আমি চাই ছেলে এবার পুজো দেখুক, সবার মাঝে থেকে মিলেমিশে বড় হোক, পুজোটা এনজয় করুক। ওর জন্য ট্রাডিশন্যাল ধুতি-পাঞ্জাবি বানিয়েছি। আরও বেশ কয়েকটা ট্রাডিশন্যাল আউটফিট বানিয়েছি। নিজে এবছর তেমন কিছু কিনিনি, অনেক নতুন জামাকাপড় রয়েছে তবে অনেককে দিয়েছি। কোভিড আসার পর আমার মনে হয়েছে প্রয়োজনের বেশি মানুষের খরচ করা উচিত নয়। ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাবারও ইচ্ছে রয়েছে। তবে একটু অফবিট কোথাও যাব। বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও যাব, দেখা হবে। এই সময়টা সবার সঙ্গে আড্ডা দিতেও ভাল লাগে আমার।
আরও পড়ুন-বিসর্জিত কালী
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
পুজোর প্ল্যানিং আমার এক-আধটা নয়। উদ্বোধন রয়েছে। দিল্লিতে আমার মহিষাসুরমর্দিনী থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের জন্য মনোনীত হয়েছে। ওটা পুজোর পরে পরেই রিলিজ করবে। ওটার জন্য গিয়েছিলাম। মুম্বইয়ে ডি এন নগরের পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার আমি। তাই একটা দিন মুম্বই যেতে পারি। এখনও ফাইনাল হয়নি কবে যাব সেটা। ওই পুজোটা আমার খুব ভাল লাগে। পুজো পরিক্রমা রয়েছে, আমার নিজের অনুষ্ঠান রয়েছে। সবগুলোই করব। আমার মেয়ে আমেরিকান স্কুলে পড়ে সিঙ্গাপুরে, ওর আসা হবে না এবার কারণ ওর স্কুল খোলা। ওখানে চলে যেতেও মন চাইছে। আমার ছেলেমেয়েরা বাইরে থাকলেও কলকাতার পুজোটা এনজয় করতে চায় ভীষণভাবে। এবছর পুজোয় কলকাতাতেই আপাতত পুরোটা থাকার ইচ্ছে আছে। আমার মা এবং শাশুড়ি দু’জনেরই বয়স হয়ে গেছে। ওঁদের সঙ্গে সময় কাটাব ভেবে রেখেছি। অঞ্জলি দেব যেখানেই থাকি না কেন। নতুন শাড়ি পরে অঞ্জলি দেওয়ার মতো আনন্দ আর নেই। এই অনুভূতির বদল হয় না। আমার সেক্রেটারির বাড়িতে পুজো হয়, ওখানে যাবার ইচ্ছে রয়েছে। বাকি সময় বাড়িতে বন্ধুবান্ধব আসতে পারে, আমিও যাব তাদের বাড়ি। খাওয়া-দাওয়া, গল্প, আড্ডা হবে। আমার মায়ের বাড়ি পার্ক স্ট্রিটের কাঞ্চনজঙ্ঘা অ্যাপার্টমৈন্টে। ওখানে কোঅপারেটিভ সোসাইটির সবাই মিলে পুজো করে। চারদিন ওই সোসাইটিতে কারও ফ্ল্যাটে হাঁড়ি চড়ে না। দারুণ খাওয়াদাওয়া হয়। আমাদের নিমন্ত্রণ তো থাকেই। বাপের বাড়ি বলে কথা! কলকাতায় আছি এবছর, তাই যাবই সেখানে। ওখানে খুব সুন্দর পুজো আর সিঁদুরখেলা হয়। আমার এবছর সিঁদুরখেলার ইচ্ছে আছে। ধুনুচি নাচটাও খুব এনজয় করি। সুযোগ পেলে সেটাতেও অংশ নেব।
আরও পড়ুন-মা দুর্গা পূজিত হচ্ছেন গ্রাম্যবধূর বেশে
লাভলি মৈত্র
সোনারপুরে পুজোর উদ্বোধনে ছিলাম রোজই। আজ পর্যন্ত এগুলোই চলবে। তারপর সপ্তমী থেকে বিশ্রাম। আমি এখন আর খুব একটা নিজের জন্য ঠাকুর দেখতে বেরোই না। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে বেরোব। ও খুব ভালবাসে ঠাকুর দেখতে। একটা দিন মার কাছে যাব। বাপের বাড়ির পাড়ায় পুজো হয়। সবাই আশা করে আমি যাব। মণ্ডপে বসে থাকতে, সবার সঙ্গে আড্ডা দিতে খুব ভাল লাগে। ওই বসে গল্প, আড্ডাটাই এখন আর হয় না কাজের ব্যস্ততায়। তাই পুজো এলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার একটা ইচ্ছে থাকেই। কলকাতায় ওদের সঙ্গে দেখা করি। হাজব্যান্ডের এমার্জেন্সি সার্ভিস তাই ওর উপায় নেই আমাদের সঙ্গে বেরোনোর। তাও মাঝেমধ্যে টাইম পেলে বেরোই। বাড়িতে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করি। বাইরে থেকে খাবার এনেও খাওয়া হয়। অষ্টমীর দিন আমাদের বাড়ির ক্যাম্পাসেই অঞ্জলি দিই। আর দশমীর সিঁদুরখেলা কখনও মিস করি না। ওটা আমার দারুণ লাগে। এই ক’দিন মা আসেন। যেটুকু পারি চুটিয়ে আনন্দ করে নিই।
আরও পড়ুন-‘সাঁঝবাতি’র প্রবীণদের নিয়ে পুজো পরিক্রমা
সোহিনী সেনগুপ্ত
পুজোয় আমাদের যত শো থাকবে ততই আনন্দ। এ বছর অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে নবমীর দিন আমাদের নান্দীকারের ডবল শো আছে। আপাতত ওটা নিয়েই খুব ব্যস্ত। পুজোয় খুব ভিড়ে কোথাও ইচ্ছে করে না। আমি পাড়াতেই থাকি। আমার বাড়ির সামনে যে পুজোটা হয় কলকাতায় থাকলে ওখানে যাই সন্ধ্যাবেলা প্রতিবছর। একটু ঠাকুরের মুখ দেখি। বাকি সময় বাড়িতেই থাকি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হয়, খাওয়া-দাওয়া আড্ডা হয়। এটা দুর্গাপুজোর সবচেয়ে ভাল দিক। একদিন পুজোর মধ্যে বাবাকে নিয়ে একটা কোথাও রেস্তোরাঁয় খেতে যাবার খুব ইচ্ছে রয়েছে।
আরও পড়ুন-চতুর্থীতেই জনজোয়ারে ভাসল দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ
দেবারতি মুখোপাধ্যায়
সারাটা বছর ধরে আমার অনেক বই না পড়া থাকে। পেশাগত ব্যস্ততার জন্য একদম বই পড়ার সময় হয় না। ঠিক করেছি সেগুলো শেষ করব এই পুজোর এই ছুটিতে। আর আমার ছেলের তিনবছর বয়স। ওকে নিয়ে একটু অফবিট কোনও জায়গায় ঠাকুর দেখতে যাব। যেখানে ভিড়ভাট্টা নেই। যেমন হুগলি বা বর্ধমানের দিকে সম্ভ্রান্ত জমিদার বাড়ির পুজো হয়। কলকাতায় বেশ কয়েকটা বনেদি বাড়ির পুজো হয়, সেগুলো দেখতে যাবার ইচ্ছে রয়েছে। আমি ফুডি খেতে খুব ভালবাসি। পুজোয় খাওয়াদাওয়া করব না এ আবার হয় না কি! এবারে ঠিক করেছি একদিন বাইরে খেতে যাব এবং বাড়িতেও রোজ ভাল ভাল রান্না হবে। পরিবারের সবাই মিলে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করব।
আরও পড়ুন-আজ বোধন বাংলা জুড়ে উৎসব
রুমেলি ধর
আমি এখন গুজরাতের বরোদায় রয়েছি। এবছর আমি বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এবার প্রথম আমি এখানে নবরাত্রি উদযাপন দেখলাম। গরবা দেখতে গিয়েছিলাম। এখানকার গরবা খুব বিখ্যাত। নবরাত্রি উপলক্ষে ধুমধাম হয় খুব। ন’দিন ধরে চলে উৎসব। এখানে আসার পরেই ভেবেছিলাম গরবা মিস করব না। চোখের সামনে অমন জাঁকজমক, ডান্ডিয়া নৃত্য দেখে আমি অভিভূত, ভীষণ ভাল লেগেছে। পাশাপাশি ক্যাম্প চলছে একটানা। মাঝে বিশ্রামের দিনগুলো একটু আনন্দ করতে পেরেছি এটাই আসল। ৮ তারিখে ভাইজ্যাগ যাচ্ছি। দিল্লিতে থাকলে অষ্টমীর দিন দুর্গাঠাকুরের মুখ একবার দেখি। তবে পরপর কয়েকবার নানা কারণে সেটা হয়নি। এবছর গুজরাতে তাই ক্যাম্পের ফাঁকেই এখানকার প্যান্ডেলে যাব। একটু হলেও দুর্গাপুজো এনজয় করব।
আরও পড়ুন-১৫ দিনে সোমনাথকে ভর্তির নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত
লগ্নজিতা চক্রবর্তী
আমাদের প্রত্যেক বছর একটাই পুজো প্ল্যান আর সেটা হচ্ছে শো। এক, দুই তিন, চার এই চারদিন বরোদা, আমেদাবাদ, দিল্লি আর মুম্বইয়ে শো রয়েছে আমাদের। এই শো-ই আমাদের আসল উৎসব কারণ পুজো উপলক্ষেই শোগুলো আমরা করতে যাই। আর যেখানে যেখানে যাই সেখানে মা দুর্গার মুখ দেখা হয়ে যায়। ওটাই আমার কাছে আনন্দ। পুজোয় কলকাতায় থাকার সুযোগ খুব কম পাচ্ছি কয়েকবছর। আমরা যারা পারফর্ম করি তাদের ওই বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই শো- এর সিজন শুরু হয়ে যায়। তাই ব্যস্ততা চূড়ান্ত। পুজোর মধ্যে আমার বর আসবে কলকাতায় কিন্তু দেখা হবে না। ও যেদিন ঢুকবে আমি সেদিন বেরিয়ে যাব। ফিরছি দশমীতে।
আরও পড়ুন-পুজোয় পর্যটক টানতে সেজেছে চিলকিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির
স্নেহা চ্যাটার্জি ভৌমিক
করোনার দুর্যোগ কাটিয়ে এ বছর আবার আমরা সবাই আনন্দে মেতেছি। ছেলেকে নিয়ে পুজো দেখব। ওকে নিয়ে অনেক প্ল্যান। এবছর বাড়িতে ষষ্ঠী, সপ্তমীতে আড্ডা হবে। আমাদের দু’জনের বন্ধুরা সবাই বাড়িতে আসবে। খাওয়া-দাওয়া হবে সবাই মিলে অনেকদিন পর। ওরা আমার ছেলেকে দেখেনি, ওকে দেখতেই আসছে সবাই। বেলঘরিয়াতে মার বাড়ি যাব। ওখানে বেরিয়েই ঠাকুর হয়। রাতে একটা অটো করে ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাব ঘণ্টা দুয়েক। ও তো ছোট খুব বেশি পারবে না। অষ্টমীতে ভোগের জাজমেন্টের জন্য যাব আবাসনের পুজোগুলোয়। ওখানেই কোথাও অঞ্জলি দেব মায়ের। দশমীতে শ্বশুরবাড়ি যাব। তাই সিঁদুরখেলাটা হয়তো হবে না। বছরের এই সময়টাই যাই। আমার শ্বশুরবাড়ি নদিয়ার দেবগ্রামে। এই উপলক্ষে ঘোরাও হবে আমাদের।
আরও পড়ুন-১৫ দিনে সোমনাথকে ভর্তির নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত
ইন্দ্রাণী হালদার
পুজোয় এবার কলকাতাতেই আছি। দু’দিন বাইরে ছিলাম। উদ্বোধন, পারফরম্যান্স থাকে আমার এই সময়। কাল থেকে পুরো এখানেই। নিউ আলিপুরে আমার পাড়ার পুজো। ওখানেই থাকব। খুব আনন্দ হয় আমার পাড়াতে। বাইরে খুব একটা বেরোব না। এই সময় রোল, ফুচকা খাওয়া চাই। ওগুলো খাব ভেবেছি। বাকি সবকিছু রান্না বাড়িতেই হবে। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে অনেক আড্ডা দেব। আমি নিজে রান্না করি না কিন্তু নানারকম ভাল ভাল মেনু করানোর ইচ্ছে আছে। পুজোয় কোনও ডায়েট নয়। অষ্টমীর দিন মায়ের ভোগ হবে, সেই সব কাজ, সঙ্গে পুজোর পর ওখানে সবাই মিলে ভোগ দেওয়া, অঞ্জলি দেব, সন্ধিপুজো দেখব। পুজোর সঙ্গে ইনভলভ থাকতে দারুণ ভাল লাগে আমার। ভোগ খেতে যে কী ভাল লাগে আর নবমীতে আমরা ওখানেই একটা অনুষ্ঠান করব সবাই মিলে। প্যান্ডেল হপিং অনেক আগে করতাম কিন্তু এখন আর হয় না। আমার প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখার চেয়ে পাড়ার মণ্ডপে বসে গল্প করা, পুজো দেখা, খাওয়া-দাওয়া এগুলোই বেশি পছন্দ।
আরও পড়ুন-চণ্ডীদাসের পুজোর নির্ঘণ্ট জলঘড়ি মেনে
ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়
পুজোর জমজমাট প্ল্যান। সপ্তমীতে দিল্লি কালীবাড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে। অষ্টমীতে ফিরছি। দশমীতে কানাডা যাচ্ছি। বাড়িতে যে দু’দিন আছি রান্না করব কারণ আমার হাজব্যান্ড ভীষণ খেতে ভালবাসে, ফুডি মানুষ। আমি যদিও পুজোর সময়েও স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়াই পছন্দ করি। বাবা আছেন, পরিবারের আর সবার জন্যও ভাবতেই হয়। কিন্তু ওর জন্য মাটন, চিংড়ি, পোলাও, মাছ এসবই হবে। বিগত কয়েকবছর কলকাতায় থাকছি না। লকডাউনের বছর বাদে। তবে বিদেশে যেখানেই যাই না কেন, মা দুর্গার মুখ দেখি। এবার দশমীতে যাচ্ছি তাই ওখানে গিয়ে হয়তো আর হবে না। এখানেই মাকে দর্শন করব। ঠাকুর দেখা আমার হয় না তেমন। তবে বাড়িতে খুব এনজয় করি। আর আমার অনুষ্ঠান আমাকে খুব আনন্দ দেয়। এবার আমার যে পুজোর গানটা বেরিয়েছে তার নাম শৈলপুত্রী। এটা মিউজিক ভিডিও, মা দুর্গাকে নিয়েই সেই গান।