কাবুল : আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবান নিজেদের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তিতে নেই তালিবান। এই মুহূর্তে দেশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু তাদের হাতে নেই অর্থের জোগান। অর্থ সংগ্রহের জন্য তালিবান নেতৃত্ব মরিয়া চেষ্টা চালালেও তাতে কোনও আশার আলো নেই।
আরও পড়ুন : ত্রিপুরায় দলের দুঃস্থ কর্মীর মেয়ের চিকিৎসায় সহায়তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘ এক সতর্কবার্তায় জানিয়ে দিল, তালিবান সরকার যদি দ্রুত টাকা জোগাড় করতে না পারে তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়বে আফগানিস্তান। সে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। এতদিন আফগানিস্তানের মোট খরচের একটা বড় অংশ আসত বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে। কিন্তু ১৫ অগাস্ট তালিবানরা দেশের ক্ষমতা দখলের পর সেই সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকা ও তার সহযোগী ৭টি দেশ মিলিতভাবে আফগানিস্তান সরকারের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ বিভিন্ন দেশে পড়ে রয়েছে। এতদিন মূলত নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ দ্বারাই আফগানিস্তানের অর্থভাণ্ডার নিয়ন্ত্রিত হত। কিন্তু তালিবান ওই অর্থ অপব্যবহার করবে বলেই তা আটকে দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। এরই মধ্যে আফগানিস্তান নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন কূটনীতিবিদদের জেফরি ডেলনেটিস রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জানিয়েছেন, তালিবান এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইছে। কিন্তু সাহায্য বা স্বীকৃতি কখনওই এমনি দেওয়া যায় না। আগে তাদের সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তবেই তালিবান সরকারকে সাহায্য বা স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আমেরিকার এই মন্তব্যে আফগানিস্তানের সংকট আরও ঘোরালো হয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন :ব্রিকস বৈঠকেও আফগানিস্তান
অন্যদিকে আফগানিস্তানের অর্থভাণ্ডার আটকে রাখার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে চিন ও রাশিয়া। চিনের প্রতিনিধি গেং শুয়াং জানিয়েছেন, আটকে রাখা ওই সম্পত্তি আফগানিস্তানের। ওই সম্পদ দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা উচিত। এই অর্থ আটকে রাখার কোনও যুক্তি নেই। বৈদেশিক সাহায্য আটকে যাওয়ায় এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের দমবন্ধ অবস্থা। চিন জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানকে প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য করবে।