মালাং : ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia Football Tragedy) একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত কমপক্ষে ১৭৪ জন। এর মধ্যে অনেকে পদপিষ্টও হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু, মহিলা এবং পুলিশও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুহান স্টেডিয়ামের একটি ম্যাচ ঘিরে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: স্মৃতির পাতা থেকে পুরনো কলকাতার দুর্গাপুজো
ঠিক কী ঘটেছিল? শনিবার মালাং শহরের কানজুরুহান স্টেডিয়ামে ম্যাচ (Indonesia Football Tragedy) ছিল জাভার দুই ক্লাব পার্সিবায়া সুরাবায়া ও আরেমার মধ্যে। পার্সিবায়া ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় আরেমাকে। ইন্দোনেশিয়ার ঘরোয়া ফুটবলে এই দু’দলের চির প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বৈরিতা সকলেরই জানা। ম্যাচ হারতেই আরেমার সমর্থকেরা ঝাঁপিয়ে পড়েন বলেন অভিযোগ।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, আরেমা ম্যাচ হারার পরই গ্যালারি থেকে তাদের সমর্থকরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যার রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্টেডিয়ামে। তা থেকেই মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গিয়েছে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে বহু দর্শক ভয় পেয়ে যান। আতঙ্কে স্টেডিয়াম ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাতেও অনেকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে একে অপরের উপর পড়ে যান অনেকেই। তাতে পদপিষ্ট হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো অফিনতা বলেছেন, ‘‘ভয়াবহ ঘটনায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পুলিশকর্মীও আছেন। স্টেডিয়ামের ভিতরেই ৩২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান।’’ হিংসার এই ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আপাতত আগামী এক সপ্তাহ ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ থাকবে। সে-দেশের সরকারের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া ফুটবল সংস্থাও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ফিফার তরফে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে
নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার অতিরিক্ত দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, চূড়ান্ত প্রশাসনিক অব্যবস্থাকে দায়ী করা হচ্ছে।