প্রতিবেদন : গণধর্ষণ (Uttar Pradesh- GangRape), খুন বা সুবিচার না পেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে রোজনামচায় পরিণত হয়েছে। দশেরায় এমনই এক ঘটনায় যোগীরাজ্যে ধর্ষিতা এক নাবালিকা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছে। অন্য আরেকটি ঘটনায় ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরে বুধবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক নাবালিকা ছাত্রী। মালিপুর থানা এলাকার ওই নাবালিকা দুই সপ্তাহ আগে পুলিশকে জানিয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বর সে যখন স্কুল থেকে ফিরছিল সে সময় দুই যুবক তাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Uttar Pradesh- GangRape) করে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত সাজা দেওয়া না হলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও পুলিশকে জানিয়েছিল। ঘটনার পর প্রায় ২০ দিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। প্রশাসনের কাছে বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে। নাবালিকা স্কুল পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ সময়মতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মেয়েটিকে এভাবে মরতে হত না। পুলিশ, প্রশাসনই মেয়েটির অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী। সমালোচনার চাপে পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর মালিপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রমোদ কুমারকে সাসপেন্ড এবং সার্কেল অফিসার চন্দ্রভান যাদবকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দুই রাজ্যে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু ১০ জনের
অন্যদিকে যোগীরাজ্যে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মইনপুরী জেলার ভোগাঁও থানা এলাকার নাগলা শিশম গ্রামে। বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ১৯ বছরের এক ছাত্রীকে বুধবার তার বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন ওই তরুণীর বাবা ও মা বিশেষ কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে গ্রামের এক যুবক বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী যুবকের কুকীর্তির কথা ফাঁস করার হুমকি দিলে তাঁকে গলা টিপে করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে মৃতার ছোট বোন যখন স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরে তখন পুষ্পেন্দ্র নামে এক যুবককে দরজা খুলে দৌড়ে পালাতে দেখে সে। বাড়িতে ঢুকে ছোট বোন দিদিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এই ঘটনায় ভোগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।