প্রতিবেদন : ভয়ঙ্কর ঘটনা। উত্তরপূর্ব থাইল্যান্ডের (Gun Attack in Thailand) নং বুয়া লম্ফু শহরে প্রি স্কুল চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টার নামে একটি ক্রেশে ঢুকে পড়ে আচমকাই গুলি চালাল এক বন্দুকবাজ। গুলি চালানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ককে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে। উন্মত্ত বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলিতে ২৩ টি শিশু-সহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার তাণ্ডবে কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পড়েন ক্রেশে থাকা অন্যান্য অভিভাবক ও শিক্ষকরা। অনেকেই প্রাণভয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই হামলাবাজকে পাকড়াও করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। উল্টে হামলাবাজের গুলিতে এক পুলিশ আধিকারিক মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে ওই বন্দুকবাজ নিজের স্ত্রী ও শিশু সন্তানকেও গুলি করে খুন করে। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হয় সে। হামলাকারীর নাম পানিয়া খামরাব।
আরও পড়ুন-সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি সাহিত্যিক অ্যানি
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জাক্কাপাত বিজিতরাইথাইয়া জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টা নাগাদ হামলা চালায় বন্দুকবাজ পানিয়া খামরাব। পিস্তল ও ছুরি নিয়ে ক্রেশে ঢুকে পড়ে ওই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। ক্রেশে ঢুকে সেখানে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে খুন করে ওই বন্দুকবাজ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ২৩টি শিশুর বয়স ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে শিক্ষক এবং এক পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় ১২ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। থাইল্যান্ড পুলিশের উপ মুখপাত্র আরচন ক্রেইতোং জানিয়েছেন, ক্রেশে হামলাকারী পানিয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত মাদকাসক্তির জন্য এক বছর আগে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যদিও এদিনের হামলার (Gun Attack in Thailand) সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। পরিসংখ্যান বলছে, তাইল্যান্ডে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীর হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও অধিকাংশ হামলার পিছনেই সে দেশের প্রাক্তন পুলিশ ও সেনা আধিকারিকরা জড়িত। এই পরিসংখ্যানই চিন্তায় ফেলেছে সে দেশের শীর্ষ পুলিশ ও সেনা আধিকারিকদের।