সংবাদদাতা, রামপুরহাট : কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে তারাপীঠে মায়ের আবির্ভাব তিথি পালিত হয়। কথিত, ঢেকার রাজা রামজীবন চৌধুরী ১৭০১ সালে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে মায়ের শিলামূর্তি আবিষ্কার করেন তারাপীঠ মহাশ্মশানে। এরপর মন্দির গড়ে শিলামূর্তির পুজো শুরু করেন। ৭৬ বছর পর ১৭৭৭ সালে মুর্শিদাবাদ নসিপুরের রাজা উন্মত্ত সিংহ ও নাটোরের দত্তক পুত্র রাজার পরামর্শে মায়ের রাজবেশ পরিয়ে পূজার্চনা শুরু করেন।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযান, কোটি টাকা দুর্নীতির হদিশ পেল পুলিশ
সারা বছর মা উত্তরমুখে মূল মন্দিরে অধিষ্ঠিত হলেও, এই দিনে মা তারার বোন ঝাড়খণ্ডের মা মৌলিক্ষার দিকে অর্থাৎ পশ্চিমে শ্মশানের দিকে মুখ করে অবস্থান করেন। ভোরে মূল গর্ভগৃহ থেকে বের করে মাকে গোটা দিন বিরাম খানায় রাখা হয়। ভক্তরা মাকে স্পর্শ করতে পারেন। মা গোটা দিন অন্নগ্রহণ করেন না। ভোর তিনটার পর মাকে স্নান করিয়ে কাঁসর-ঘন্টা বাজিয়ে বিরাম মন্দিরে রাজবেশ শৃঙ্গারে সাজিয়ে আরতি ও গোটা দিন পুজো হয়। সন্ধ্যায় মঙ্গলারতির পর মাকে পাঁচ ফল, মিষ্টি দিয়ে পুজো করার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মূল মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফের স্নান করিয়ে রাজবেশ পরিয়ে পাঁচ ফুলের মালা পরিয়ে আরতি ও ফলমূল, লুচি ভোগ দেওয়া হয়। রাতে মাকে খিচুড়ি, পঞ্চব্যঞ্জন, বলির মাংস, শোলমাছ পোড়া, পায়েস দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় বলে জানান সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়।