ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলা যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা, সেটা তাঁর কট্টর সমালোচকরাও বেশ ভালোই জানেন। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আর যেখানে খোদ দলনেত্রী প্রার্থী, সেখানে কর্মী-সমর্থক-নেতাদের মধ্যে ভোট নিয়ে বাড়তি উৎসাহ, উদ্দীপনা, আবেগ থাকবে সেটা খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন- যোগী আদিত্যনাথের উন্নয়নে বাংলার ছবি ব্যবহারের নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব
মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস শিবির ঐতিহাসিক জয় চাইছে । আপাত নিরীহ উপনির্বাচন মনে করে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। দিদিকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন তাঁর ভাইয়েরা। কোভিড বিধি মেনে তাই তৃণমূলের রবিবাসরীয় প্রচার ছিল জমজমাট।
এদিন সকাল থেকে ভবানীপুরের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে ব্যস্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । প্রচারে এলাকার অলিতে গলিতে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। যাতে বেশি সংখ্যায় মানুষ ভোট দিতে যান, তা মানুষকে বুঝিয়ে বলেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে উন্নয়নের প্রচারে বাংলায় মমতার উন্নয়নের ছবি ব্যবহার, প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারই পাল্টা দেন ফিরহাদ। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিংকেও নিশানা করেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, “নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারেননি। সেখানে সন্ত্রাস হয়েছে। মেদিনীপুর-বারাকপুরের নেতারা যদি ভাবেন ভবনীপুরে রিগিং, কারচুপি, সন্ত্রাস করবেন, তাহলে মানুষ তাঁদের পা ভেঙে দেবেন।”
এদিন কেন্দ্রের মোদি সরকারকেও নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “মা দুর্গার রূপে বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুরদের বধ করেছেন। এবার ভারতে অসুররাজকে দমন করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন।”
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন, রেকর্ড মার্জিনের লক্ষ্যে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি তৃণমূলের
ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্ৰেরেওয়াল প্রচারে বেরিয়ে বলেছিলেন, গণতন্ত্র ও মানবতার স্বার্থে মানুষ তাঁকে ভোট দেবেন। বিজেপি প্রার্থীকে ফিরহাদের পাল্টা, “মানবতার স্বার্থে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। ২১৩টা কেন্দ্রে মানুষ ভোট দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবতাকে সামনে রেখেই।”