সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : ডেঙ্গুর উপসর্গে বদল। ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করতে গিয়ে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকেরা। উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষায় মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বাড়ে। বনাঞ্চল, উত্তরের নদী পাহাড়ের সমন্বয়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালে মশা ও পতঙ্গবাহিত রোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। চলতি বছরে শিলিগুড়িতে বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গুর। শিলিগুড়ি শহরে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর আক্রান্তের সংখ্যা ২০,২৭০-এর কাছাকাছি। তবে গুরুতর রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা দানা বেঁধেছে অন্য জায়গায়। কারণ রোগীদের শরীরে দেখা মিলছে না ডেঙ্গুর চেনা উপসর্গ।
আরও পড়ুন-বিজয়া এবং জনসংযোগ
যার জেরে রোগী শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শহরে একাধিক চিকিৎসকদের ক্লিনিক্যাল আপেক্ষিক রিপোর্টে এগুলো সামনে এসেছে। ডেঙ্গুর মূল ও সাধারণ উপসর্গ জ্বর, মাথাব্যাথা, গা-হাত-পা-পেশিতে অসহ্য যন্ত্রণা। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। দেখা যাচ্ছে, কিছু রোগীর এই উপসর্গই নেই। নেই জ্বরও। সামান্য পেটের সমস্যা, বমি বমি ভাব নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসছেন। রক্ত পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু পজিটিভ। উত্তরবঙ্গ জনস্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন, উপসর্গের বদল ঘটেছে। জ্বরের সঙ্গে নতুন ধরনের র্যাশ বা গুটি দেখা দিচ্ছে। অনেকের জ্বরও নেই। পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল রিপোর্টে এগুলির উল্লেখ করেছেন। শিলিগুড়ি, জলাপাইগুড়ি, মালদহে বিস্তর বদল ঘটছে ডেঙ্গির উপসর্গে। তবে স্বস্তির বিষয় হল, এগুলি গুরুতর নয়। ওষুধে বাড়িতে থেকেই সেরে উঠছেন রোগীরা।