আমি ছোটবেলা থেকেই অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসি। রহস্য আমাকে সর্বদা হাতছানি দিয়ে ডাকে। ছোটবেলা থেকেই আমি রহস্য ভরা কল্পনার জগতে ভাসতাম। এমনটা বোধহয় অনেকেই আছেন।
ছোটবেলায় আমরা কাছাকাছি বয়সের জেঠতুতো, খুড়তুতো ভাই-বোনেরা মিলে কখনও অরণ্যদেবের মতো আমগাছ, জামগাছে উঠতাম কখনও বা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের পঞ্চপাণ্ডব সেজে রহস্য খুঁজে বেড়াতাম। কখনও কখনও নিজেদেরকে তেনজিং নোরগে আর এডমন্ড হিলারি ভেবে জানালার কার্নিসে উঠে এভারেস্ট জয় করার আনন্দ নিতাম। একবার তো আমার এক ভাই স্পাইডারম্যান সেজে আমগাছের ডালে ঝুলতে গিয়ে পাশে থাকা পাঁচিলের ওপরে লাগানো কাঁচে অনেকখানি পা কেটে ফেলেছিল, আর তারপর বাড়ির বড়রা সান্ত্বনা দেওয়া তো দূরের কথা, ভীষণ বকা দিয়েছিল আমাদের এই সমস্ত উদ্ভট কাজের জন্য। কিন্তু বকাঝকা, মারধর সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে তারপরেও আমরা আমাদের রোমাঞ্চকর অভিযান চালিয়ে যেতাম।
আরও পড়ুন-একাধিক স্কচ অ্যাওয়ার্ড বাংলার, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
বাস্তব জীবনে অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক মানুষের জীবনহানিও ঘটেছে। আবার অনেকেই অভিযান শেষে উড়িয়েছেন বিজয়কেতন। তবুও অভিযান থেমে থাকেনি। দুর্গম গিরি কান্তার মরু পথ অনায়াসেই পার করে দেন ভ্রমণপ্রিয় রোমাঞ্চকর অভিযানের অভিযাত্রীরা। কিছু কিছু মানুষের সারাবছরই একটি ব্যাগ প্যাক করা থাকে। যখনই সময় পান বেরিয়ে পড়েন অজানা অচেনা জায়গার উদ্দেশ্যে।
বিয়ার গ্রিলসের নাম আমরা সবাই জানি। তিনি একধারে লেখক, ব্রিটিশ অভিযাত্রী এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। ডিসকভারি চ্যানেলে ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এর জনপ্রিয় সঞ্চালক তিনি। আর এই প্রোগ্রামটি আমাদের সবার একটি প্রিয় প্রোগ্রাম। কারণ এটার মধ্যেও জড়িয়ে আছে অ্যাডভেঞ্চার। কখনও দেখা যায় তিনি সুউচ্চ বরফ আবৃত পর্বতে আরোহণ করছেন, কখনও সাপ পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, হাতির মল মিশ্রিত তরল, ইত্যাদি খাবার হিসেবে গ্রহণ করছেন, বাঁশ দিয়ে ভেলা বানিয়ে সাগরে পাড়ি জমাচ্ছেন। আবার কখনও বা খালি হাতে মাছ শিকার করছেন অর্থাৎ দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। যেহেতু এগুলো এক-একটি দুঃসাহসিক অভিযান তথা অ্যাডভেঞ্চার সেহেতু এই প্রোগ্রামটি আমাদের আকর্ষণ করে। আর আমরা মানসপটে সবাই নিজেদেরকে এক-একজন বিয়ার গ্রিলস ভাবি।
সবাই হয়তো বিয়ার গ্রিলস হতে পারে না, কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার বা দুঃসাহসিক তথা রোমাঞ্চকর অভিযান করার ইচ্ছা সকলের মধ্যেই ঘুমিয়ে থাকে। সবাই এভারেস্ট জয় করতে না পারলেও ছোট ছোট ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সেই সুপ্ত মনের আশা পূর্ণ করে। আর সেই জন্যই অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী, কেদারনাথ বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী প্রভৃতির মতো দুর্গম স্থানে পায়ে হেঁটে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারে সাধারণ মানুষজন। আসলে রোমাঞ্চকর অভিযান হল এমন একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা যা সাধারণত সাহসী, এবং কখনও কখনও ঝুঁকিপূর্ণ বলেও বিবেচিত হয়ে থাকে।
রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্যে ভ্রমণ, বাইক অভিযান, পর্বতারোহণ সহ বিভিন্ন খেলাধুলা অর্থাৎ স্কাই ডাইভিং, স্কুবা ডাইভিং, প্যারাসেইলিং ইত্যাদির মতো অ্যাডভেঞ্চারাস অ্যাক্টিভিটিগুলো রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের কাছে লোভনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী
একটি স্পিডবোটের সঙ্গে একটি লম্বা দড়ি বাঁধা প্যারাসুট করে সাগরের উপরে উঠে যাওয়ার মতো রোমাঞ্চকর ব্যাপারটিকে বলা হয় প্যারাসেইলিং, আবার পাখির মতো খোলা আকাশে হাত-পা ছড়িয়ে উড়ে বেড়ানোর মজা নিতে প্যারাসুটে চড়ে আকাশে ঘুরে বেড়ানোর নাম প্যারাগ্লাইডিং, আবার লম্বাটে একটি বোর্ডের ওপর দাঁড়িয়ে সাগরের ঢেউকে কাবু করে ভেসে থাকার অ্যাক্টিভিটিই হচ্ছে সার্ফিং। এছাড়াও রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য আরও একটি অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে রিভার র্যাফটিং। পাহাড়ি নদীতে এলোমেলো ভাবে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দই আলাদা।
আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগে বারবার মামলায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ বিচারপতিদের
এছাড়াও সমুদ্রের তলদেশের রঙিন মাছ, শৈবাল রংবেরঙের পাথর, বিভিন্ন ধরনের কচ্ছপ, প্রবাল ইত্যাদি দেখার জন্য কুবা ডাইভিং কিম্বা স্নোরকেলিং ইত্যাদিও আজকের দিনে অ্যাডভেঞ্চারের অন্য নাম হয়ে উঠেছে।
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের জন্য আরও একটি অ্যাক্টিভিটির নাম বাঞ্জি জাম্পিং। শরীরে দড়ি বেঁধে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে শূন্যে ঝাঁপ দেওয়ার নামই হচ্ছে বাঞ্জি জাম্পিং। শূন্যে ঝাঁপ দেওয়ার সময় মৃত্যুভয় সামনে এসে উঁকি মারে আর নিচে পড়ার শেষ মুহূর্তে যখন দড়িতে আটকে যায় তখন মৃত্যুভয় জয় করে এক অপার্থিব অনুভূতি হয়, যেটা আজীবন স্বর্গসুখ মনে হয়।
অ্যাডভেঞ্চার বা রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প আমরা সাহিত্যেও পেয়ে থাকি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘চাঁদের পাহাড়’ বেশিরভাগ মানুষেরই পড়া। সেখানে গল্পের নায়ক শংকরের আফ্রিকা মহাদেশ জয় করার কাহিনি বর্ণনা করা আছে। শংকর চাকরি করলেও রোমাঞ্চ তাকে হাতছানি দিত। আর সেই কারণেই সে পৌঁছে যায় আফ্রিকার দুর্গম স্থানে। চাকরি ছেড়ে দিয়ে হীরের খনির অনুসন্ধানে বের হয় সে। পথে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয় শংকর এবং সেখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে তার জীবন বাঁচে। এবং সর্বশেষে যখন সে কালাহারি মরুভূমিতে পথ হারিয়ে প্রায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তখন সেখান থেকে রেসকিউ টিম এসে তাকে বাঁচায়।
আরও পড়ুন-বাজি পোড়ানোতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটা নিয়ে একটি সিনেমাও হয়েছিল।
বাস্তব জীবন নিয়েই তৈরি হয় গল্প কাহিনি। বর্তমানে বহু বাইকারকে দেখা যায়, যারা তাদের বাইককে সঙ্গী করে পাড়ি দেয় দুর্গম পথের উদ্দেশ্যে। আবার সাইকেলে করেও ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অনেকের ঝুলিতেই রয়েছে।
হুগলির পুরশুড়ার উজ্জ্বল ঘোষ থেকে শুরু করে উদয়নারায়ণপুরের ঠাকুরদাস শাসমল, কলকাতার পরিমল কাঞ্জি প্রমুখ অনেকেই সাইকেল চালিয়ে লাদাখ পৌঁছেছেন। আবার সিঙ্গুরের মিলন মাঝি তো পায়ে হেঁটেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের স্বর্গ লাদাখে।
ক্যাপ্টেন প্রীত চান্ডির একজন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাকর্তা, তিনি দক্ষিণ মেরুর প্রতিকূল পরিবেশে একাকী অভিযান করেছিলেন। এবং ১১২৬ কিলোমিটার পথ চল্লিশ দিনে অতিক্রম করে ইতিহাস গড়েছিলেন। এটা ছিল প্রীতের একটি দুঃসাহসিক অভিযান। আবার জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় অরুণিমা সিনহার এক পা নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার গল্প সকলেরই প্রায় জানা। একবার ট্রেনে যাত্রাপথে একদল ডাকাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অরুণিমা, ফলস্বরূপ ডাকাতরা তাঁকে ধাক্কা মেরে লাইনে ফেলে দেয়। আর এই দুর্ঘটনার ফলে অরুণিমার হাঁটুর নিচ থেকে একটি পা বাদ হয়ে যায়। কিন্তু তাতে তিনি ভেঙে পড়েন না, কারণ অ্যাডভেঞ্চার মানুষের রক্তে বয়ে চলেছে, আর সেই কারণেই সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো, সহ প্রায় ছয়টি শিখর তিনি ২০১৪ সালের মধ্যে জয় করে ফেলেন, আর ২০১৯ সালে জয় করেন আন্টার্টিকার ভিনসন স্তূপপর্বত। ইংলিশ চ্যানেলের মতো দুর্গম জলপথ আমাদের দেশে অনেকেই অতিক্রম করেছেন। আরতি সাহা, বুলা চৌধুরী, সায়নী দাস প্রমুখ সাঁতারু এই দুর্গম জলপথে রহস্যময় রোমাঞ্চকর অভিযানের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন-অভিষেকের চোখে হল অস্ত্রোপচার
ম্যারাথন শব্দটার সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং আলট্রা-ম্যারাথন। সেগুলো হচ্ছে হার্ডরক হান্ড্রেডআল্ট্রা- ম্যারাথন। এই রেস শুরু হয় সিলভারটন স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে আবার শেষও হয় এখানেই। মাঝে প্রায় ৩৪ হাজার ফুটের মতো উচ্চতায় উঠতে হয় প্রতিযোগীদের। রাতে শুরু হওয়া এই রেসে প্রতিযোগীদের প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঝোড়ো আবহাওয়া, পাথরের ভাঙা টুকরো, বরফে ঢাকা খাঁড়া ট্রেইলের মুখোমুখি হতে হয়। দ্য জঙ্গল আল্ট্রা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় পেরুভিয়ান রেইন ফরেস্ট এবং ক্লাউড ফরেস্টে। এখানে প্রতিযোগীদের খাবার, ওষুধ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ম্যারাথন শুরু করতে হয়। এই রেসে প্রতিযোগীদের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আগাছাপূর্ণ জায়গা দিয়ে যেতে হয়। আর এই ফরেস্টে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পোকামাকড়, বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মোকাবিলা করেও এগোতে হয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য আলট্রা ম্যারাথনগুলো হচ্ছে সাহারা মরুভূমিতে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন অফ স্যান্ডস, বার্কলে ম্যারাথন, ব্যাড-ওয়াটার আল্ট্রা ম্যারাথন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য অ্যাডভেঞ্চারাস ম্যারাথন।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে
তবে সবার পক্ষে এভারেস্ট জয় করা অথবা ইংলিশ চ্যানেল পার করা কিংবা আটলান্টিকের বুকে হেঁটে রোমাঞ্চকর অভিযান করা অথবা আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। আর সেই কারণেই মানুষের মনকে তৃপ্ত করার জন্য গড়ে উঠেছে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম অর্থাৎ রোমাঞ্চকর ভ্রমণ। আর এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে পাহাড়ে হাইকিং, ক্লাইম্বিং, মাউন্টেনিং, ট্রেকিং, হান্টিং, জঙ্গলে হলকেভিং ইত্যাদি ইত্যাদি।
বর্তমানে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের মুখে মুখে একটি কথা ঘোরে, সেটি হল ব্যাকপ্যাকিং বা ব্যাক প্যাকার্স। আর এই ব্যাকপ্যাকিং বা ব্যাক প্যাকার্স সেই সমস্ত অভিযাত্রী বা ভ্রমণপিপাসুদের বলা হয় যারা কাঁধে একটি ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়েন নতুন অভিজ্ঞতা অথবা অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধানে কিংবা যারা ঘুরতে গিয়ে কোনও কিছুই চিন্তা করে না, অর্থাৎ ঘুরতে গিয়ে আগামী পদক্ষেপ কী হবে তার জন্য কোনও পূর্ব পরিকল্পনা থাকে না। ঘুরে বেড়ানোর অদম্য ইচ্ছা নিয়ে আর একটা ব্যাগে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া ভ্রমণপিপাসুরাই হচ্ছেন ব্যাকপ্যাকিং ট্রাভেলার।
আরও পড়ুন-কিছু প্রশ্ন এবং ডাঃ বক্সী
তবে বর্তমানে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের সংখ্যা বাড়লেও অর্থাৎ রোমাঞ্চকর অভিযান জনপ্রিয় হলেও পুরান বা কল্পকাহিনিতেও বিভিন্ন ধরনের রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প পাওয়া যায়।
মার্কো পোলোর ভারত অভিযান, ইতালির নাগরিক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার, পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামার ইউরোপ থেকে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার এই সবগুলোই এক-একটি অ্যাডভেঞ্চার বা রোমাঞ্চকর অভিযান ছিল।
আমাদের জীবনে প্রতিদিনই অ্যাডভেঞ্চার বা রোমাঞ্চকর অভিযানে ভরপুর থাকলেও ওয়ার্ল্ড অ্যাডভেঞ্চার ডে হিসাবে বছরে মাত্র একটি দিনকেই পালন করা হয়ে থাকে। আর সেটি হচ্ছে অক্টোবরের দ্বিতীয় সোমবারের পর সপ্তাহান্তে। এবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যাডভেঞ্চার ডে ১৫ অক্টোবর পালন করা হবে।
আরও পড়ুন-বাজি পোড়ানোতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা
আমরা যেহেতু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাই ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ জোজো’ সিনেমার জোজোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও বলতে পারি —-
‘‘কত নিঝুম পথ ঘুরে গা ছমছম দুপুরে,
আমি ঘুরছি সবুজে যেন জঙ্গল বুক ঘুরে,
আছে বাঘিরা আর মোগলি, এই জঙ্গলে ডেন তার,
যদি হামলে পরে শেরখান, তবু টানছে অ্যাডভেঞ্চার”