প্রতিবেদন : শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন বিশেষভাবে সক্ষম দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জিএন সাইবাবা। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এই অভিযোগে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনই বোম্বে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সঙ্গে সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
আরও পড়ুন-হারানো দিনের স্মরণীয় নায়িকা
তবে এনআইএ-র ওই আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিতে এনআইএ-র করা আবেদনটি সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে দিয়েছে। বলা যেতে পারে এই মামলায় দুই আদালতেই বড়সড় ধাক্কা খেল এনআইএ। একইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত দেও এবং বিচারপতি অনিল পানসারেকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন সাংবাদিক প্রশান্ত রাহি ও ছাত্র হেম মিশ্র-সহ আরও পাঁচজনকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছে। ধৃত ছয়জনের মধ্যে একজনের মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-শ্যামলের দুর্নীতির তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন
বম্বে হাইকোর্ট এদিন রায় দিতে গিয়ে জানায় এঁদের বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনও অভিযোগে মামলা রুজু না হয়ে থাকে, তাহলে যেন অবিলম্বে মুক্তির এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়। এদিন শুনানির জন্য আদলতে এসেছিলেন জিএন সাইবাবা। সারাক্ষণ বসেছিলেন হুইলচেয়ারে।
মাওবাদীদের সঙ্গে যোগায়োগ রয়েছে এই সন্দেহে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবা এবং আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক সাংবাদিকও ছিলেন। মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এরা দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছিল৷