প্রতিবেদন : ধনতেরাস (Dhanteras) এবং দীপাবলির ভরা মরশুমে সোনার গহনার বাজারেও চরম অনিশ্চয়তা ডেকে আনল বউবাজারের (Bowbazar) মেট্রো-বিপর্যয়। মদন দত্ত লেন এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে নতুন করে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দেওয়ায় অন্তত ৫০টি গয়নার দোকান এবং ওয়ার্কশপের ঝাঁপ আপাতত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। অথচ দু’বছরের কোভিড-ত্রাস কাটিয়ে উঠে এবারেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তাঁরা। আগাম অর্ডারও পেয়েছিলেন পর্যাপ্ত পরিমাণে। দীপাবলি কাটলেই টানা বিয়ের মরশুম। দু’বছরের ব্যবসা-মন্দার ক্ষতি সামলে নেওয়ার আশার আলো নিভে গেল আচমকাই। শুধু গহনার ব্যবসাই নয়, দীপাবলির মুখে বিপর্যয় নেমে এল স্থানীয় বস্তাপট্টির চট এবং পাটজাত পণ্যসামগ্রীর বাজারেও। অন্তত ৫০টি দোকান এবং কারখানা চরম অনিশ্চয়তার মুখে। অথচ এই দীপাবলি এবং ধনতেরাসেই নানা ডিজাইনের পাট বা চটের ব্যাগের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু এই ব্যবসায় যুক্ত বহু মানুষকেই আপাতত তল্পিতল্পা গুটিয়ে সপরিবারে সরে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। গয়নার শো-রুম, স্টোর, ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে চটের ব্যাগের পাইকারি বাজার সবই এই তল্লাটে। এর একটা বড় অংশই পড়ছে এইসব ফাটল ধরা বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এই দুই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। মদন দত্ত লেনের এক জুয়েলারি স্টোরের মালিক বললেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা এই বাড়িটি খুঁটিয়ে পরিদর্শন করে আমাদের অবিলম্বে সরে যেতে বলেছেন। কারণ, বাড়িটি এখন খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। জানি এর মানেটা কী। ধনতেরাস (Dhanteras- Bowbazar) থেকে বিয়ের মরশুম—আমাদের ব্যবসা পুরোপুরি ঝুলে গেল। সংকটে সোনার শিল্পীরাও। আরও কয়েকজন সোনার কারবারির আক্ষেপ, এবছর কিন্তু আমরা বেশ ভাল রকমের অর্ডার পেয়েছিলাম। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার মুখেই এই বিপর্যয়। বাড়িতে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দেওয়ায় বাধ্য হলাম ওয়ার্কশপ বন্ধ করে দিতে। যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, ফিনিশড প্রোডাক্ট—সবই পড়ে রয়েছে সেখানে। একটাই প্রশ্ন, সব অর্ডার সাপ্লাই করার মতো সময় আর পাওয়া যাবে কি আদৌ?