দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: এঁটো হাতেই কালীমাতাকে নৈবেদ্য তথা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন পুরোহিত। সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য তারাক্ষেপার হাতে তৈরি পঞ্চমুণ্ডির আসনে পূজিত হয়ে আসছে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur- Kali Puja) জেলার খাপুর জমিদারবাড়ির কালী প্রায় চারশো বছর ধরে। আগে কালীমন্দিরের পূর্বে অনেকগুলি শিবমন্দির ছিল। যেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফাঁকা মাঠের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে পুজো হলেও পরে বেদিকে ঘিরে টিনের চালা মন্দির গড়েছেন চাটুজ্জেবাড়ির সদস্যরা (South Dinajpur- Kali Puja)। প্রাচীন বিরাচার মতে দীপাবলির দিন পুজোর সময় তান্ত্রিক মন্ত্র উচ্চারণ করার সময় মুড়ি, চানাচুর, পাঠার মাংস, কারণ খেতে খেতে ওই এঁটো হাতেই প্রতিমাকে নৈবেদ্য নিবেদন করেন। সেকালের জৌলুস এখন অনেকটাই ফিকে, তবু নিষ্ঠা সহযোগে সাধ্যমতো আয়োজন করা হয় সমস্ত রীতি মেনেই। চাটুজ্জেবাড়ির কুলদেবী তারা মা। তাই শুধু দীপাবলির দিন নয়, সারা বছরই বাড়ির রান্নার পদ, যেমন মাছ, মাংস, সবজি দিয়ে অন্নভোগ দেওয়া হয় প্রতিমাকে। জানালেন পরিবারের শাখিলা চট্টোপাধ্যায়। বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। পোলাও, ডাল, মাংস, এবং পঞ্চব্যাঞ্জন দিয়ে ভোগ নিবেদনের রীতিও বজায় রয়েছে। বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে ১৯৯৯ সাল থেকে দুর্গাপুজো বন্ধ হয়ে গেলেও দীপাবলির দিন কুলদেবীর পুজো হয়ে চলেছে। সদস্য সমীর জানালেন, এই মন্দিরের বয়স তারাপীঠের মন্দিরের সমান।
আরও পড়ুন-চ্যাম্পিয়ন হয়ে বুঝতে পেরেছি বিশ্বকাপের গুরুত্ব, স্মৃতিচারণ হিটম্যানের