আজ উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক আছে তার। পূর্ব নির্ধারিত সূচি না মেনেই সোমবার বিকেলে মালবাজারে (Malbazar) পৌঁছেই মাল নদীতে বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিজনদের বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrisna Dwibedi), মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)।
আরও পড়ুন-বোর্ডে শাহের ছেলে রয়েছেন, সৌরভ অন্যায়ভাবে বাদ, কেন? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী যান মালবাজারের ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সৌম্য অধিকারী, তপন অধিকারীর বাড়ি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে কথা বলে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে চা দেওয়া হলে সেটা খেয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান পাশের লাহা বাড়িতে। বিসর্জন চলাকালীন হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে সেই পরিবারের শুভাশিস লাহার। এরপর যান বিভা পণ্ডিতের বাড়ি। হড়পা বানে ৮জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ৬জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। একটি পরিবার না থাকায় তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি।
আরও পড়ুন-নিরপেক্ষ ইডি! অর্থমন্ত্রীকে ধুয়ে দিল তৃণমূল
স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উৎসবটা সকলের আনন্দে কেটেছে। কিন্তু কখনও কখনও কোনও কোনও পরিবারের বিপর্যয় ঘটে৷ অঘটন ঘটে। মাল-এ এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল৷ তাতে আটজন প্রয়াত হয়েছেন৷ আমি এখনও পর্যন্ত ৬জনের বাড়িতে গেলাম৷ আরও ২টি বাড়ির সদস্যরা এখানে নেই৷’’ মমতা জানান, মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের যেতে বলা হয়েছে। মখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যাঁরা কাজ করেছেন ডিএম, এসপি থেকে শুরু করে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বুলুচিক, স্বপন থেকে শুরু করে, মানিক- দারাসিং থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ- সকলের সহযোগিতায় ৪৫০ জনকে বাঁচানো গিয়েছে৷ তাঁদের কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ এ ভাবে পাড়ার ছেলেমেয়েরা বিপদে-আপদে এগিয়ে এলে আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পারি, বাঁচাতে পারি৷’’
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে জনজোয়ার
এদিকে আচমকা মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের এলাকায় দেখতে পেয়ে হতবাক স্থানীয়রা। তাঁকে একঝলক দেখা বা মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সেই মুহূর্তকে বন্দি করতে রীতিমতো হুড়হুড়ি পড়ে যায়। চরম উদ্দীপনা মালবাজারের ১০নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায়।