প্রতিবেদন : দুদিন পরেই কালীপুজো। মায়ের পুজোর প্রধান উপচারই হল লাল জবাফুল। কিন্তু এবার চাহিদার তুলনায় জবাফুল ফুটছে কম। তাই বিপুল চাহিদা প্লাস্টিকের লাল জবাফুলের। লাল জবা ছাড়া শ্যামার আরাধনা অসম্ভব। তাই বছরভর এবং বিশেষ করে কালীপুজোর সময় লাল জবার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু এত জবা প্রকৃতিও জোগান দিতে পারছে না। চাহিদা মেটাতে দামে কম প্লাস্টিকের লাল জবা বিকল্প হিসাবে বাজারে বিকোচ্ছে। সহজে নষ্টও হয় না, আবার চাহিদামতো সরবরাহও করা যায়।
আরও পড়ুন-কুলটির ফলহারিণী কালিকা শ্বেতবর্ণা
কালীপুজোয় চাহিদা বাড়ছে প্লাস্টিকের লাল জবা এবং মালার। উত্তর দিনাজপুরোর রায়গঞ্জ এলাকার সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লি, পালপাড়া, কান্তনগর প্রভৃতি অঞ্চল প্লাস্টিক ফুলের মালা তৈরির বড়সড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিকের ফুল এখন এলাকার কুটিরশিল্পে পরিণত। কারিগর সুনীল পাল সারা বছর সাইকেল মেরামতির কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। কালীপুজোর আগে পরিবারের সকলকে নিয়ে প্লাস্টিকের জবাফুলের মালা তৈরিতে হাত লাগান। অন্য বহু পরিবারের মতোই। পুজোর আগে অতিরিক্ত কিছু টাকা আয় হয়। দুই মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে সুনীল এই সময় সারাদিন ব্যস্ত থাকেন মালা তৈরির কাজে। প্লাস্টিক ফুল তৈরির কারখানা থেকে কাঁচামাল কিনে এনে রায়গঞ্জের ঘরে ঘরে এই মুহূর্তে চলছে মালা তৈরির কাজ। সেই মালা প্রাকৃতিক লাল জবার বিকল্প হিসেবে শোভা পাবে মা কালীর গলায়।