প্রতিবেদন : কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করার পর নরেন্দ্র মোদি আর কোনওভাবেই যেন সেই ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চাইছেন না। ছলে-বলে-কৌশলে কীভাবে ক্ষমতা দখলে রাখা যায় সেই পরিকল্পনা করতেই ব্যস্ত মোদি। মানুষ বুঝে গিয়েছে মোদি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা সবই ভুয়াে। কর্মসংস্থানের কথা বললেও আদতে কর্মসংস্থান হয়নি। জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশে প্রবল মোদি-বিরোধী হাওয়া। তাই কীভাবে ২০২৪ সালে (Lok Sabha) ক্ষমতায় ফেরা যায় ইতিমধ্যেই তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন মোদি (Modi Government) ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা।
লোকসভার বর্তমান সাংসদ সংখ্যা ৫৪৩। কিন্তু ক্ষমতায় ফিরতে মোদি এই আসন সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। নতুন সংসদ ভবন তৈরি হচ্ছে। নতুন লোকসভায় ৮৮৮ জন সাংসদ বসতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে আসন বাড়িয়ে ৭৭২ করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের (Lok Sabha- Modi Government)। অর্থাৎ আরও অন্তত ২২৯টি আসন বাড়ানোর কথা ভাবছে মোদি সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে এমনটাই হয়েছে। এবার গোটা দেশে। পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সরকারের যুক্তি, এটা রুটিন প্রক্রিয়া। ভোটার সংখ্যা বাড়লে সেই অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস করতেই হয়। সেই প্রক্রিয়াই কার্যকর হবে। বিরোধীরা সাফ বলছে, লোকসভা কেন্দ্রের চরিত্র নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা মতো বদল করবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদি সরকার। লক্ষ্য একটাই, গেরুয়াকরণ। যে যে আসনে তাদের শক্তিক্ষয় হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলিকে পুনর্বিন্যাসের অজুহাতে নিজেদের সুবিধা মতো গুছিয়ে নেবে। পাশাপাশি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি শক্তিশালী, সেখানে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের আশঙ্কা, ভোটে জেতার জন্য সুবিধামাফিক ডিলিমিটেশনের পথে হাঁটছে মোদির সরকার। শুধু তাই নয়, নতুন ডিলিমিটেশনের পর রাজ্যের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেন্দ্র। নিজের স্বার্থ গোছাতে বিজেপি রাজ্যভাগের অন্যায্য দাবির আগুনে ঘি ঢালতে চলেছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গোর্খাল্যান্ড-কামতাপুরের মতো পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে। মোদি বলে বেড়াবেন, আপনাদের দাবির কথা আমরাই ভাবি। তাই ভোটটা আমাদেরই দেবেন।
আরও পড়ুন: সম্মেলনকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হল জিনতাওকে