কাবুল : প্রায় এক মাস হতে চলল আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। তাদের এই ক্ষমতায় আসার পিছনে ছিল পাকিস্তান ও কাতারের মদত। রবিবার সন্ধ্যায় কাতারের এক উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি দল কাবুলে এসে পৌঁছয়। তালিবান তাদের মন্ত্রিসভা ঘোষণার পর এই প্রথম কোন দেশ উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দলকে কাবুলে পাঠাল।
আরও পড়ুন-পেগাসাস থেকে পালাচ্ছে মোদি সরকার, গড়িমসি নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
তালিবান মুখপাত্র সুহেল সাহিন জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ আখুনজাদা কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এবং আমিরের উপদেষ্টা শেখ মহম্মদ বিন আহমেদ আল মোসনাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তালিবানের দুই উপপ্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। তবে, কাতারের এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালিবানের কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। সূত্রের খবর, ইসলামি এমিরেটস অফ আফগানিস্তান গঠনে সাহায্য করার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আখুনজাদা।
আরও পড়ুন-কোভিডবিধি শিকেয় তুলে পার্টিতে হুল্লোড় কৈলাসপুত্রের
দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য কাতার ও সহযোগী দেশগুলির কাছে আখুনজাদা আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন বলে খবর। তবে শুধু আখুনজাদা নয়, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও কাতারের সরকারি প্রতিনিধিরা একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকেই তালিবানদের রাজনৈতিক কার্যালয় কাতারে। প্রথম দেশ হিসেবে গত সপ্তাহেই কাতার এয়ারওয়েজ আফগানিস্তানের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালু করে।
বক্সিং করলে মরতে হবে :
তালিবানের হুমকির কারণে দেশ ছাড়লেন সেদেশের এক মহিলা বক্সার। সিমা রেজাই নামে আফগান জাতীয় দলের ওই বক্সার জানিয়েছেন, কাবুল দখলের পরই তালিবানরা তাঁকে হুমকি দেয়। তারা হুমকি দেয়, বক্সিং না ছাড়লে আমাকে খুন করা হবে। তাই আমি যেন অবিলম্বে বক্সিং ছেড়ে দিই। আফগানিস্তানের জাতীয় বক্সিং দলের এই সদস্য আরি জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে বক্সিং ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেজাই কাবুল ছেড়ে কাতারে চলে গিয়েছেন।