মেলবোর্ন : কিং কোহলি (Virat Kohli) ইজ ব্যাক! সত্যিই রাজার মতোই ফিরলেন বিরাট কোহলি। তাও আবার কোন ম্যাচে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর এই রূপকথার প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী রইলেন রবিবার রাতের এমসিজির গ্যালারিতে হাজির ৯০ হাজার ২৯৩ জন ক্রিকেটপ্রেমী। টিভির পর্দার কোটি কোটি দর্শকদের কথা তো ছেড়েই দিন।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাট থেকে জয়সূচক রান আসতেই শিশুর মতো আবেগে ভেসে গেলেন বিরাট। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছুটে এসে কাঁধে তুলে নিলেন। বাকি সতীর্থরাও কেউ জড়িয়ে ধরলেন। কেউ বা পিঠ চাপড়ে বাহবা দিলেন। কিন্তু বিরাটের চোখ আকাশের দিকে। জল চিকচিক করছে সেই। চোখে। কাকে খুঁজছিলেন তিনি। ক্রিকেট ঈশ্বরকে!
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে তো আবেগে ভাল করে কথাই বলতে পারছিলেন না শুরুতে। তার মধ্যেই জানিয়ে দিলেন এটাই তাঁর সেরা টি-২০ ইনিংস। এই রাতটা তিনি কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। বিরাট বলেন, ‘‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলছি। কী বলব বুঝতে পারছি না!” তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘এতদিন আমার কাছে সেরা টি-২০ ইনিংস ছিল মোহালির ৫১ বলে ৮২ রান। কিন্তু আজকের পর আর নয়। এটাই এগিয়ে থাকবে। কারণ এই ম্যাচের পরিস্থিতিটাই অন্যরকম ছিল।”
বিরাট (Virat Kohli) আরও বলেন, ‘‘আমি সত্যিই জানি না কী হচ্ছে। ব্যাট করার সময় হার্দিক বারবার বলছিল, নিজের উপরে বিশ্বাস রাখো। আমরা পারব। বেশ কয়েকটা মাস রান পাচ্ছিলাম না। ওই কঠিন সময় আমার পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ।”
রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দল। ওই পরিস্থিতিতে হাল ধরেন বিরাট ও হার্দিক। বিরাট বলছেন, ‘‘১০ ওভার কেটে যাওয়ার পর আমরা ঠিক করি এবার পাল্টা মার দিতে হবে। আমাদের হিসেব ছিল শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে যাওয়া।” পাক পেসার হ্যারিস রউফের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুটি বল সীমানার বাইরে উড়িয়ে দেন বিরাট। যা সম্পর্কে হার্দিক পান্ডিয়া ম্যাচের পর বলেছেন, ‘‘আমার দেখা সেরা দুটো ছয়।”
আরও পড়ুন: বিরাটকে টুপি খুলে সেলাম, বললেন মুগ্ধ রোহিত
বিরাট বলছেন, ‘‘আমি রউফের শেষ দুটো বলে ছয় মারার জন্য মরিয়া ছিলাম। জানতাম তাতে পাকিস্তান চাপে পড়ে যাবে। কারণ শেষ ওভারটা ওদের স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে করতে হত। সেটাই হয়েছে।” বিরাট আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমি জানতাম রউফ শর্টপিচ করবে। তাই পিছনের পায়ে আগেই চলে গিয়েছিলাম। জোরে মারার চেষ্টাই করিনি। শুধু টাইমিং ঠিকঠাক করতে চেয়েছিলাম। আর পরের বলটা যে ও গায়ে করবে, সেটাও অনুমান করেছিলাম। তাই তৈরি ছিলাম।”
বিরাট আরও জানিয়েছেন, ড্রেসিংরুমে ফিরেই স্ত্রী অনুষ্কাকে ফোন করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনুষ্কার সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভীষণ খুশি। বলল সবাই ওকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, অনুষ্কা এই মুহূর্তে কলকাতায়। ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিকের শুটিং করছেন।