সংবাদদাতা, কাটোয়া : নাদনঘাটের ছাড়িগঙ্গার কাকভোরের ঘাট। ধীরে ধীরে জড়ো হচ্ছেন ইটভাটার শ্রমিক, বস্তা সেলাইয়ের মজুর, জুতো মেরামতি কারিগররা। সবাই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। দেশোয়ালি ভাইদের সঙ্গে যে ছট উৎসবে মাতবেন, তার জো নেই বাসন্তী কিসকু, আনন্দ হেমব্রমদের। পেটের টানে ভিনরাজ্যে পড়ে থাকতে হয় পূর্বস্থলী ১নং ব্লক-সহ কালনা মহকুমার বিভিন্ন ইটভাটায়, জুতো সারানো বা বস্তা তৈরির কারখানায়। আনন্দ, বাসন্তী-সহ হাজার তিনেক ভিনরাজ্যের শ্রমিক ছাড়িগঙ্গা-সহ এলাকার বিভিন্ন নদী বা জলাশয়ে পালন করেন ছট উৎসব। এই উৎসবে পাশে পান নাদনঘাটের বাসিন্দা তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে (Chhath Puja- Swapan Debnath)। রবিবারও সূর্য ওঠার আগেই হাজির স্বপন। ছটের তদারক করলেন। সামনেই শীত। তাই শ’তিনেক পুরুষ-মহিলাকে দিলেন কম্বল। গত ১৬ বছর এভাবেই পাশে থাকেন তিনি (Chhath Puja- Swapan Debnath)। পুরুষ-মহিলা ও তাঁদের ছেলেমেয়েদের নতুন পোশাক দিলেন। শনিবার সকাল থেকে দিনভর এনসিডি ইটভাটা, মুনভাটা, সমুদ্রগড় লাগোয়া বাঘাডাঙা, দামোদরপাড়া প্রভৃতি এলাকা ঘুরে ঘুরে নতুন পোশাক দিয়েছেন স্বপন। সংখ্যাটা হাজার দেড়েকের উপর। বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই দুর্গা-কালী-জগদ্ধাত্রী-রাস থেকে শুরু করে ইদ-মহরমে যেমন মানুষের পাশে থাকি, তেমনি ছটপুজোতেও ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াই।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের উচ্ছেদ, পুনর্বাসন রাজ্যের