বিরোধীদের পোস্টারের বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল কংগ্রেস

কুৎসার জবাব দিতে শহরে শত্রুঘ্ন

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : শুক্রবার আসানসোল শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির তরফে ‘সাংসদ নিখোঁজ’ মর্মে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার সশরীরে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে হাজির হয়ে প্রতিপক্ষের মুখের উপর সপাটে যাবতীয় কুৎসার জবাব ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা (TMC MP Shatrughan Sinha)। বলা যায়, বিরোধীদের একেবারে খামোশ বা চুপ করিয়ে দিলেন তিনি নিজের উপস্থিতি দিয়ে। তাঁকে ঘিরে আসানসোল এলাকার পোস্টার-বিতর্ককে উড়িয়ে দিলেন তুড়ি মেরে। শনিবার অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, নিজেকে বিহারীবাবু বলতে ভালবাসেন তিনি। তাই মূলত বিহারীদের প্রধান উৎসব পবিত্র ছট উপলক্ষে এখানকার উৎসবের উত্তাপ গায়ে মাখতেই তাঁর আসা। অন্যান্য বছর ছট উৎসবে তিনি পাটনায় থাকেন। কিন্তু এ বছর আসানসোলের মানুষের টানে ছুটে এসেছেন শহরে। তিনি (TMC MP Shatrughan Sinha) বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় এই শহরেই ছিলাম, দুর্গাপুরের কার্নিভালেও উপস্থিত ছিলাম।’’ এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে প্রতিনিয়তই পাশে রয়েছেন বলে জানান, আসানসোলের মানুষ কয়েক মাসে তা উপলব্ধি করেছেন। সেই কারণেই বিজেপির তোলা ফালতু অভিযোগের কোনও জবাব দিতে চান না। জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংহের স্ত্রী সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন, দীর্ঘদিনের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সান্ত্বনা দিতে যাবেন বলে জানান শত্রুঘ্ন। উল্লেখ্য, দলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার নামে সন্ধান চাই পোস্টার দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের তরফেও আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নামে অনুরূপ পোস্টার দেওয়া হয়। তিনি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে পরিযায়ী পাখির মতো আসেন বলে ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ। আপত্তিকর পোস্টারের বিরুদ্ধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, বিজেপির তরফে শত্রুঘ্নকে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সাংসদ হিসেবে তাঁর যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা সেগুলির প্রতি তিনি যথেষ্ট যত্নবান। ছটঘাট পরিদর্শনের জন্য মেয়র বা এমআইসিরা রয়েছেন। ওরা জানে না সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা প্রতিনিয়ত মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। কুলটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কো-অর্ডিনেটর অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাংসদের নামে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। এটা বিরোধী দলের চক্রান্ত। বিরোধীরা জানেন না যে উনি পুজোয় ১৮ দিন এখানেই ছিলেন। একজন সাংসদের কাজ ছটপুজোর ঘাট পরিদর্শন হতে পারে না। ফ্লাইওভার নির্মাণ থেকে শুরু করে অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি দেখাটা তাঁর কাজের মধ্যে পড়ে। এইসব কাজকর্ম দেখার জন্য আসানসোলের মেয়র, ডেপুটি মেয়র রয়েছেন। সরকারের বদনাম করতেই এই ধরনের কুরুচিকর পোস্টার দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ডেপুটেশন দিলাম।’’

আরও পড়ুন-ছটপুজোয় হাজার শ্রমিককে পোশাক ও কম্বলদান মন্ত্রীর

Latest article