সুম্মিতা মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: ওঁরা গৃহ পরিচারিকা। বছরভর গৃহস্থবাড়িতে রান্না ও সংসারের খুঁটিনাটি সামলান। উৎসবের মরসুমেও ওঁদের রুটিন বদল হয় না। তাঁদেরই নিজের বাড়িতে ডেকে উপহার দিয়ে সংবর্ধিত করলেন প্রবীণ শিক্ষক-প্রাবন্ধিক অশীতিপর কামদেব শাসমল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুরসভার নুনগোলার বাসিন্দা। শিক্ষকতা করেছেন ডায়মন্ড হারবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে। পাশাপাশি গবেষণা ও একাধিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। স্বামী প্রণবানন্দের ভাবানুরাগী।
আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী রূপে পূজিতা মা তারা
শৈশব ও কৈশোর কেটেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরে। অভাব-অনটনে পড়াশোনায় ছেদও পড়েছিল। পরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যুক্ত হন। শিক্ষকতা করেন। কামদেব প্রয়াত পিতা-মাতার স্মরণে পেনশনের অর্থ দিয়ে নানান সামাজিক কাজ করেন। এই কাজে শরিক সত্তরোর্ধ্ব স্ত্রী গায়ত্রী দেবী, দুই ছেলে ও পুত্রবধূরা। অতীতে জেলার অভাবী-মেধাবী পড়ুয়াদের এককালীন অর্থসাহায্য করেছেন। এবার এলাকার ৩০ জন গৃহ পরিচারিকাকে উৎসবের উপহার ও সংবর্ধনা দিলেন। কালীপুজোর আগের দিন বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রত্যেকের হাতে নতুন শাড়ি, নগদ টাকা ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। উপহার পেয়ে অনেকে কেঁদেও ফেলেন। কামদেব বলেন, ‘সারা বছর ওঁরা আমাদের পরিবারের সেবা করে। পুজোয় উপহার সেভাবে পায় না। আমি ওঁদের সংবর্ধিত করে সামান্য কিছু উপহার দিয়েছি। ওঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’