দেখুড়িয়ায় ৪৫০ বছরের জগদ্ধাত্রী

রাতে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষকে পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। পুজো উপলক্ষে মন্দিরচত্বরে মেলা বসে। দশমীপুজো শেষে প্রতিমা বিসর্জন হয়।

Must read

দেবর্ষি মজুমদার: হাটনবমীর দিন তারাপীঠের কাছে দেখুড়িয়া গ্রামে সাড়ম্বর হতে চলেছে জগদ্ধাত্রীপুজো। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ৪৫০ বছর আগে গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারে ইষ্টদেবতা হিসাবে জগদ্ধাত্রীপুজো শুরু হয়। তাঁদের দৌহিত্ররা আজও বংশের পুজো চালিয়ে আসছেন। বর্তমানে পুজো কমিটির অন্যতম অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়রা।

আরও পড়ুন-৩০ গৃহ-পরিচারিকাকে উপহার শিক্ষকের

প্রথম দিকে গ্রামের মঙ্গল কামনায় তালপাতা দিয়ে ঘেরা জায়গায় অস্থায়ী বেদী বানিয়ে তন্ত্রমতে মায়ের আরাধনা করা হত। বর্তমানে স্থায়ী বেদীতে মা দক্ষিণাকালীর মন্দিরে পুজো হয়। এখানে দক্ষিণাকালী গ্রাম্যদেবতা, জগদ্ধাত্রী ইষ্টদেবী। বুধবার সকালে আদিবাসী নৃত্য, ডান্ডিয়া, ঢাক ও কাঁসর বাজনা সহযোগে দ্বারকা নদ থেকে ঘট ভরে আনা হয় শোভাযাত্রা সহকারে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন গ্রামের মহিলারা। পঞ্জিকা মেনে বুধবারে হবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজো।উদ্যোক্তা অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, সৌমেশ্বর ভট্টাচার্য, পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়রা জানান, আগে গ্রাম্যদেবতার মন্দিরের সামনে একটি ছাগবলি দেওয়া হয়। পরে ইষ্টদেবীর সামনে আরও তিনটি বলি হয়। রাতে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষকে পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানো হয়। পুজো উপলক্ষে মন্দিরচত্বরে মেলা বসে। দশমীপুজো শেষে প্রতিমা বিসর্জন হয়।

Latest article