প্রতিবেদন : পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর দাবিতে গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশে আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশই বাড়ছে। ভোটমুখী দুই রাজ্যে এই আন্দোলনে চাপে পড়েছে বিজেপি। দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ বিজেপির সব নেতারাই ভোট এলে দেদার প্রতিশ্রুতির বান ছোটান। আর ভোট মিটলেই তাঁরা সেইসব প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান। এবার ভোটমুখী দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যেই প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া প্রবল। এরই মধ্যে দুই রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর দাবিতে আন্দোলন নতুন করে দানা পাকিয়ে ওঠায় উদ্বেগে পড়েছে গেরুয়া দল।
আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনায় এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পোশাক
গত সেপ্টেম্বরে খোদ মোদির জন্মদিনেই শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গুজরাতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবিতেই এই আন্দোলন। সম্প্রতি গুজরাত সরকার এক নির্দেশিকায় জানায়, ২০০৫ সাল থেকে যাঁরা সরকারি চাকরি বা শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের জন্য নতুন পেনশন নীতি প্রযোজ্য হবে। এর পরেই আন্দোলন শুরু ওই রাজ্যে। পথে নেমে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মীরা। কারণ শিক্ষক ও সরকারি কর্মীরা চাইছেন আগের পেনশন নীতি ফিরিয়ে আনা হোক। তাতে তাঁরা চাকরি জীবনের পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেনশন হিসাবে পাবেন। কিন্তু নতুন পেনশন নীতি এক অনিশ্চিত বিষয়। সে কারণেই গুজরাতের সঙ্গেই হিমাচলেও আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষক এবং সরকারি কর্মীরা। এই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল।
আরও পড়ুন-বেহায়া বিজেপি, শতাধিক মৃত্যু উপেক্ষা করে সফরের সাজগোজে ব্যস্ত প্রশাসন!
কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা নতুন পেনশন প্রকল্প বাতিল করবে। একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস মোদি সরকারের পেনশন নীতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। দলের দাবি, এটা মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির জ্বলন্ত প্রমাণ। দীর্ঘদিন চাকরি করার পর একজন সরকারি কর্মী ঠিক কী পরিমাণ পেনশন পাবেন তা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
এই অনিশ্চয়তার হাত থেকে বাঁচতেই পথে নেমেছেন মোদির রাজ্যে সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পুরনো পেনশন প্রকল্পের দাবিতে অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের তীব্রতা আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও বাড়বে। এই আন্দোলন বিধানসভা ভোটে নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলবে। এখন দেখার বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে মোদি-শাহ ফের কোন ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেন।