প্রতিবেদন : মহাবিপাকে পড়েছেন গুজরাতের বর্তমান বিজেপি বিধায়করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চারদিনের গুজরাত সফরে ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শিলান্যাস কর্মসূচি চলছে। শাসক দল বিজেপিকে ভোটমুখী কর্মসূচি ঘোষণার সুযোগ করে দিতেই নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত গুজরাত বিধানসভার দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হওয়ায় বিজেপিও তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে না।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ দূষণ
কিন্তু এর মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এক নির্দেশে ব্যাপক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বিজেপির বর্তমান বিধায়করা। বিজেপির ভুয়ো প্রতিশ্রুতির জেরে জেরবার মানুষ। মোদির রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে বিজেপি এবার তাদের বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে অনেককেই প্রার্থী করবে না বলে খবর। অথচ সব বর্তমান বিধায়ককেই গেরুয়া দলের হাইকমান্ড ৫০ থেকে ৬০ লাখ বা তার বেশি টাকা খরচ করার ফতোয়া জারি করেছে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত স্টিল ম্যান
দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই এই নির্দেশে ফাঁপরে পড়েছেন বিধায়করা। বুধবার বিজেপি গুজরাত জুড়ে স্নেহ মিলন কর্মসূচি পালন করবে। এই কর্মসূচিতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। তারপর সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের নাগরিকদের মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হবে। নির্দেশ, যেভাবেই হোক, প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ হাজার লোকের সমাবেশ করতে হবে এবং তাঁদের সকলকে মধ্যাহ্নভোজ করাতে হবে। মধ্যাহ্নভোজের পুরো খরচ সংশ্লিষ্ট বিজেপি বিধায়কই বহন করবেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বর্তমান দিনে খুব কম করে খরচ করলেও মাথাপিছু ১৫০ টাকা ব্যয় হবে। অর্থাৎ ২০ হাজার লোক খাওয়াতে খরচ হবে ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীরা খুন করল সপা নেতাকে, নিহত মা এবং স্ত্রী
মণ্ডপসজ্জা, চেয়ার ইত্যাদি সাজাতেও প্রায় একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। অর্থাৎ একজন বিধায়ককে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ করতেই হবে। এই নির্দেশ নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কারণ, বিধায়কদের অধিকাংশই জানেন না তাঁরা ফের টিকিট পাবেন কি না। টিকিট না পেলে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ ব্যর্থ হবে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই অর্থ সংগ্রহের জন্য কিছু বিধায়ক বিভিন্ন ঠিকাদার এবং প্রোমোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। অর্থাৎ বলা যায় তাঁরা কাটমানি সংগ্রহের কাজে নেমে পড়ছেন। তবে এই কাজ তাঁরা মোদি-শাহর মতো নেতাদের চাপে বাধ্য হয়েই করছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।