প্রতিবেদন : গুজরাতের সেতু দুর্ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court- Mamata Banerjee) তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এত মানুষের জীবনহানির পরও কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত করবে না? অ্যাকশন নেবে না? এরা শুধু সাধারণ মানুষকে হয়রান করে। বুধবার চেন্নাই উড়ে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুজরাতের সেতু-বিপর্যয় নিয়ে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী-সহ গুজরাত সরকারকে কার্যত একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মানুষের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এদিনও সেতু-বিপর্যয়ের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতি-নির্বাচনের থেকে মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ।
বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এ-রাজ্যেরও একজনের মৃতদেহ এসেছে। আরও বহু মানুষ নিখোঁজ তাঁদের মধ্যে বাংলার ক’জন রয়েছেন আমরা এখনও জানি না। দুঃখ প্রকাশ করেন মর্মাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Supreme Court- Mamata Banerjee)। এরপরই গুজরাত-সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। বাংলায় সবচেয়ে বেশি ব্রিজ রয়েছে। বামফ্রন্ট আমলে তৈরি ব্রিজ ভেঙে আমাদের এখানেও দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু আমি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থাকলেও সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থলে এসে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিলাম। সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য করা হয়েছিল। আমরা মাঝেরহাট ও টালা ব্রিজ নতুন করে তৈরি করে দিয়েছি৷ তবে গুজরাতে এত বড় দুর্ঘটনার পরও সরকারের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা মেলেনি। একইসঙ্গে ব্যাপক গাফিলতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন মাথায় রেখে ব্রিজটা খুলে দেওয়া হয়েছিল। ব্রিজ খোলার চূড়ান্ত ছাড়পত্র আসার আগেই তা খুলে দেওয়া হয়। কেন এই ঘটনায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে না? এত মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল। যাদের ব্রিজ তৈরির কোনও অভিজ্ঞতা নেই তাদের দায়িত্ব দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যে-সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত গুজরাত সরকারের। পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-গুজরাতের ভোট তাই রাজনীতি শুরু বিজেপির, বাংলায় সিএএ হবে না
প্রধানমন্ত্রী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু বলব না। গুজরাত ওঁর নিজের রাজ্য। মানুষ সব দেখছে৷ তাঁর সংযোজন, রাজনীতিবিদ হিসেবে এ-সব নিয়ে রাজনীতি করব না। আমি গুজরাত যেতে চাই। কিন্তু এখন গেলে বলবে রাজনীতি করতে গেছে! পরে সময়-সুযোগ হলে নিশ্চয়ই যাব। এখন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন মানবিক দিক দিয়ে সবটা দেখা উচিত।