সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট পৌষমেলা করতে অপারগ। এই মর্মে ট্রাস্টের তরফে তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষের কাছে। বৃহস্পতিবারের এই চিঠিতে কারণ হিসেবে ট্রাস্টের পক্ষে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ব পল্লির মাঠসংলগ্ন ভুবনডাঙায় চারটি বাঁধ আছে। সেগুলো কচুরিপানা ও আবর্জনায় পূর্ণ। মেলায় যেহেতু লক্ষাধিক মানুষের আগমন হয় এবং মেলার প্রধান আবশ্যিক বিষয় জল, তাই ওই বাঁধগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। বাঁধ সংস্কার ছাড়া মেলার আয়োজন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-হস্তিশাবকদের নাম রাখলেন বীরবাহা
এই বাঁধগুলো বিশ্বভারতীর মালিকানাধীন। তাই বারবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গোচরে আনা হলেও, তারা সদর্থক উত্তর দেয়নি। অল্প সময়ে এই সংস্কার সম্ভবও নয়। এমতাবস্থায় ট্রাস্টের পক্ষে মেলার আয়োজন সম্ভব না হওয়ায় বোলপুর পুরসভাকে চিঠি লিখে গত বছরের মতো উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর পর বিশ্বভারতী বা ট্রাস্টের উদ্যোগে পৌষমেলার আয়োজন হয়নি। ২০২০ এবং তার পরের বছরও করোনা অতিমারীজনিত কারণে পৌষমেলার আয়োজন বিশ্বভারতী বা ট্রাস্টের উদ্যোগে হয়নি। পুরসভার অনুমতিক্রমে ডাকবাংলো মাঠে ছোট আকারে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন-পদযাত্রায় গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান,আপাতত সুস্থ
পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ জানান, ‘চিঠি পেয়েছি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠারও আগে ট্রাস্টের ডিড অনুযায়ী পৌষমেলার আয়োজন ও মেলা সম্পর্কিত যে কোনও বিষয় ট্রাস্টের দায়িত্ব।’ যদিও ট্রাস্টের সচিব অনিল কোনার জানান, ‘ট্রাস্টের একার পক্ষে এই পরিস্থিতিতে আন্তজার্তিক মানের মেলার আয়োজন করা সম্ভব নয়।’ কবিগুরু মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আমিনল হোদা বলেন, ‘ট্রাস্ট আমাদেরও সব জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, বিশ্বভারতী চারটি বাঁধে মাছ চাষ করে প্রচুর আয় করে। সেই টাকাতেই তো বাঁধ সংস্কার করতে পারত। সংস্কার না হলে মেলা করা সম্ভব নয়। দু-একদিনের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ডেপুটেশন দেব।’