সংবাদদাতা, কাটোয়া : চারদিন নয়, কাটোয়া, কালনা, মন্তেশ্বর, কেতুগ্রামের বহু প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো হয় একদিনে। কালনা ১ ব্লকের কাদিপুর বারোয়ারি ও সহজপুরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। কাটোয়ার দুর্গাগ্রামের দত্ত পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোটিও শতবর্ষপ্রাচীন। ১৩১২ বঙ্গাব্দে এই গ্রামের বাসিন্দা হংসেশ্বর দত্ত তাঁর বৌদি রানী দত্তর ইচ্ছানুসারে গ্রামে একটি জলাশয় খনন করেন। নাম দেন রানী দিঘি। সেই সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন।
আরও পড়ুন-কৃষকদের স্বার্থে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগ
হংসেশ্বরের ৫ সন্তান। তাই পুজোটি এখন ৫ শরিকে ভাগ হয়েছে। পুজোয় ৬০ কেজি আতপ চালের ৬০টি নৈবেদ্য তৈরি করে এলাকার ৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করা হয়। শতাব্দীপ্রাচীন দুটি পারিবারিক জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে মন্তেশ্বরের রাউতগ্রামে। এখানকার পাঁজা পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর এবার ১৩৫ বছর। গ্রামের তারাপদ রায়ের প্রতিষ্ঠা করা পুজোর বয়স ১৫০ বছর। এখানকার দেবীর বাহন জোড়া সিংহ। কেতুগ্রামের শিবলুন গ্রামে ৯টি জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে ৫টি পারিবারিক। সবথেকে পুরনো জমিদার রামনাথ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের পুজোটি। ১৮৭০ সালে এর সূচনা। জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে ফি-বছর যাত্রাপালা-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কাটোয়ার বীজনগর গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোটিও বহু প্রাচীন। এখানে ৫টি গ্রামের মানুষকে ভোগ খাওয়ানো হয়।