প্রতিবেদন : ভিন রাজ্য থেকে চোরাগোপ্তা পথে রাজ্যে ঢুকছে নিষিদ্ধ বাজি। রাজ্যে স্বীকৃত সবুজ বাজির জোগান যথেষ্ট পরিমাণে না থাকায় প্রতিবেশী রাজ্যের বাজির ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। বেআইনি বাজি কারবারের পথও প্রশস্ত করছে। এবারের উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের অন্তর্তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। এবার ভিন রাজ্যের বাজির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে রাজ্য সরকার রাজ্যেই স্বীকৃত সবুজ বাজির উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন-বুড়িমার বিসর্জনেই সাঙ্গ হল কৃষ্ণনগরের পুজো
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, আমাদের বাজি ব্যবসায়ীরা সবুজ বাজি সম্পর্কে তেমন অবহিত নন। এরাজ্যে ওই সব বাজি তেমন তৈরিও হয় না। এই সুযোগেই অন্য রাজ্য থেকে বাজি আমদানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ বাজিও চলে আসছে। এটা আটকাতে আমরা বাংলার বাজি নির্মাতাদের বলছি, আপনারা সবুজ বাজি তৈরি করুন। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন। সব দিক খতিয়ে দেখে লাইসেন্স দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-পরিচ্ছন্নতম দীপাবলি
এতে একদিকে যেমন বাইরের থেকে বাজি আসা বন্ধ হবে, তেমনই বাজি উৎপাদকরাও দায়বদ্ধ থাকবেন। সবুজ বাজি হল পরিবেশবান্ধব বাজি, যা কম দূষণকারী কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই বাজিতে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কম হয়। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় এই বাজির উৎপত্তি। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শব্দবাজির থেকে এই বাজি ৩০ শতাংশ কম দূষণ করে। এই বাজির ব্যবহারে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ কম হবে একই সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনও অনেকটা আটকানো যাবে। এই বাজি তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিধি রয়েছে। সবুজ বাজি তৈরি করার ক্ষেত্রে বোরিয়াম নাইট্রেট নামে কেমিক্যাল থাকতে পারবে না।