প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদির সুশাসনে দেশে ফের বাড়ল বেকারত্বের হার। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য থেকে এই খবর জানা গিয়েছে। সিএমআইই-র তথ্য অনুসারে খারিফ শস্য উৎপাদন শেষে দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়েছে। যারা জেরে অক্টোবরে সারা দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন-রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনে বাস্তুচ্যুত ১.৪ কোটি মানুষ
সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, গত চারবছরে সব থেকে কম বেকারত্বের হার ছিল সেপ্টেম্বরে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার কমে হয়েছিল ৬.৪৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে গ্রামীণ বেকারত্বের হার অনেকটাই কমে ছিল। সেপ্টেম্বরে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ছিল ৫.৮৪ শতাংশ। কিন্তু সেই স্বস্তি আদৌ স্থায়ী হল না। অক্টোবরে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৮.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে শহরে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৭ শতাংশ। চলতি মাসে তা সামান্য কমে হয়েছে ৭.২১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভ্রান্ত আর্থিক নীতির কারণেই দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে। বেকারত্বের হারে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা। মোদি সরকার যদি অবিলম্বে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে নজর না দেয় তবে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে দেশের যুবসমাজ।
আরও পড়ুন-পুঞ্চে সেনার গুলিতে খতম ৩ পাক জঙ্গি
বর্ষার শুরুতে বপন করা ফসলকে খারিফ শস্য বলা হয়। যা সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুর দিকে কাটা হয়। ফলে প্রতি বছরই অক্টোবরে গ্রামীণ অঞ্চলে বেকারত্বের হার অনেকটা বাড়ে। নভেম্বরে শীতকালীন ফসল বা রবি শস্য বপনের আগে পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি থাকে। চলতি বছরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সর্বত্র সমান বৃষ্টিপাত হয়নি। কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়ে বন্যার আকার ধারণ করেছে। কোথাও আবার খরা। যার জেরে ভারতে ধান ও গম উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে গ্রামীণ এলাকায় কাজও কমেছে।