ভারতের আপত্তি উড়িয়ে চিন-পাকিস্তান করিডরের কাজ দ্রুত সম্পন্নের পরিকল্পনা

এই প্রকল্পের বিপুল খরচ সামাল দিতে গিয়ে ইসলামাবাদ ক্রমশ বেজিংয়ের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Must read

প্রতিবেদন : ভারতের আপত্তি কানেই তুলল না চিন। নয়াদিল্লির যাবতীয় বক্তব্য নস্যাৎ করে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করর সবুজ সংকেত দিল শি জিনপিং সরকার। বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই বৈঠকে এই প্রকল্প নিয়েই আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।

আরও পড়ুন-অক্টোবরে দেশে ফের বাড়ল বেকারত্বের হার

পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে ২০১৩ সালে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প শুরু করে চিন। ওই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি একটি সড়ক পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তাতেই ঘোরতর আপত্তি ভারতের। দিল্লির দাবি, এই পদক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত। শুধু পাকিস্তান নয়, আফগানিস্তান এবং তুরস্ককে এই প্রকল্পে শামিল করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও সিপিইসি প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে বেজিং। তবে এই প্রকল্পের বিপুল খরচ সামাল দিতে গিয়ে ইসলামাবাদ ক্রমশ বেজিংয়ের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন-রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনে বাস্তুচ্যুত ১.৪ কোটি মানুষ

সেক্ষেত্রে আগামী দিনে পাকিস্তানের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। গতবছর এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করতে চলেছে চিন। কিন্তু লাভের অঙ্ক নিয়ে বেজিং ধোঁকা দিচ্ছে পাকিস্তানকে। মঙ্গলবারই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, যে কোনও পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির মনে রাখা উচিত, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে যেন আঘাত না লাগে। এই মন্তব্যের নিশানা যে বেজিং ও ইসলামাবাদ তা স্পষ্ট।

Latest article