প্রতিবেদন : শুক্রবার গভীর রাতে, ট্যুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক ভারতে সংস্থার প্রায় সমস্ত কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন। ট্যুইটারের বৃহত্তম বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত। এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এখন ভারতীয় কর্মীর সংখ্যা ১০ জনেরও কম। ট্যুইটারের ভারতীয় শাখায় এতদিন প্রায় ২৫০ জন কর্মী ছিলেন। কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে শনিবার মুখ খুলেছেন মাস্ক। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে সংস্থাকে বাঁচাতে এছাড়া তাঁর সামনে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা ছিল না। প্রতিদিন সংস্থার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই ক্ষতি এড়াতে বাধ্য হয়েই কর্মী সংকোচন করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-সেতু মেরামতিতে ২ কোটি বরাদ্দ, খরচ মাত্র ১২ লাখ!
স্ট্যাটিস্টা ডট কম অনুযায়ী, ভারতে ট্যুইটারের প্রায় ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ব্যবহারকারী রয়েছে। মাস্ক জানিয়েছিলেন, ভারত কোম্পানির তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। কর্মচ্যুত কর্মীরা ইতিমধ্যেই ট্যুইটারের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম যেমন স্ল্যাক, ইমেল এবং ল্যাপটপের অ্যাক্সেস হারিয়েছেন। সংস্থার ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী জানিয়েছেন, কিছু কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় আগেই তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ট্যুইটারের কিউরেশন টিমের সকলকেই বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন, রাজস্ব-সহ অন্যান্য বিভাগে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোডাক্ট টিমগুলিকে ছোট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-১২-০-তে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস, হলদিয়া সুতাহাটা সমবায় ভোটে দুরমুশ বাম-বিজেপি
ভারতের বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রাম এবং মুম্বইয়ে ট্যুইটারের তিনটি অফিস আছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ট্যুইটার সাড়ে তিন হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা ও কানাডার জননীতি নির্ধারক কমিটির প্রধান মাইকেল অস্টিন। তিনি জানিয়েছেন, ট্যুইটারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেই সংস্থা তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে এটা তিনি মানতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, সংস্থার আর্থিক ক্ষতি রুখতে যেভাবে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, সেটা একজন কষাইকেও হার মানায়।