প্রতিবেদন : বিজেপি এবং কংগ্রেসের দৈন্য অবস্থা প্রকাশ্যে বেরিয়ে এল। হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে (Himachal Pradesh Assembly Election) দুই দলই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একের পর এক বাংলার প্রকল্প কার্যত টুকলি করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। এই ঘটনা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলার প্রকল্পগুলি কতখানি দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রভাবিত করেছে। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক প্রকল্প বারবার দেশের সেরা পুরস্কার জিতে নিচ্ছে।
বিজেপি হিমাচলের (Himachal Pradesh Assembly Election) ইস্তাহারে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় রয়েছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীদের এই সাইকেল দেওয়া হবে। যে প্রকল্প বাংলায় সবুজসাথী নামে বিখ্যাত এবং নবম থেকে একাদশ শ্রেণির বাংলার প্রত্যেকটি সরকারি স্কুল পড়ুয়ারা এই সাইকেল পাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির যুযুধান দল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে মহিলাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। শুধু ঘোষণা করাই নয়, ক্ষমতায় এলে তারা নাকি প্রত্যেকটি মহিলাকে মাসে দেড় হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। বাংলার আদলেই কংগ্রেসের আরও ঘোষণা, বিদ্যুতের বিলে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। যে ছাড় বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আসার পর থেকেই মানুষ পেয়ে চলেছেন। হিমাচলের ভোটে সেসবই উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-কর্মযজ্ঞের মধ্যেই অভিষেককে শুভেচ্ছা তৃণমূল পরিবারের
গোটা পরিস্থিতি দেখে তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, যে বিজেপি-কংগ্রেসের সকাল-বিকেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রকল্পের সমালোচনা না করলে পেটের ভাত হজম হত না, মানুষ দেখছেন সেই প্রকল্পই পরীক্ষায় পড়ে না আসা পড়ুয়াদের মতো টুকলি করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। আসলে সমালোচনা করতে গিয়ে দল দু’টি ভুলে গিয়েছিল এই প্রকল্পগুলি থেকে কয়েক কোটি পড়ুয়া এবং প্রায় কোটি মহিলা সুবিধা পেয়েছেন। এগুলি শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী প্রকল্প। তাই সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্কুল পড়ুয়াদের জুতো-পোশাক-ব্যাগ, স্বাস্থ্যসাথী-সহ প্রায় ১৫টি প্রকল্প শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক খেতাব নিয়ে এসেছে। এটাই প্রমাণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা দেশে বিকল্প অর্থনীতি এবং সামাজিক নীতি মানুষকে দিতে পেরেছে।