নয়াদিল্লি : দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud)। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড় দেশের ১৬ তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন ৭ বছর ১৩৯ দিন। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে একজন প্রধান বিচারপতির তা ছিল দীর্ঘতম মেয়াদ। ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ থেকে ১১ জুলাই ১৯৮৫ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন ওয়াই বি চন্দ্রচূড়। তাঁর শপথ নেওয়ার ৪৪ বছর পর পুত্র ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন। প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর মেয়াদ ১০ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত। তিনি বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের স্থলাভিষিক্ত হলেন। ললিত ৭৪ দিনের স্বল্প মেয়াদে দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরাতে ভোটাভুটি কেরল বিধানসভায়
১১ নভেম্বর ১৯৫৯ সালে জন্ম ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud)। তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-সহ স্নাতক হন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে এলএলবি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে ফরেনসিক সায়েন্সে এলএলএম এবং ডক্টরেট করেছেন।
১৯৯৮ সালের জুন মাসে বম্বে হাইকোর্ট চন্দ্রচূড়কে একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনোনীত করেছিল। ওই বছরেই তিনি দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০১৩-র ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। এরপর তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৩ মে ২০১৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে উন্নীত হন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় ঐতিহাসিক রায় প্রদানকারী একাধিক সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশ ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা মামলা, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারার অধীনে সমকামী সম্পর্কের অপরাধীকরণ বন্ধ, আধার প্রকল্পের বৈধতা সম্পর্কিত বিষয়, শবরীমালা ইস্যু, সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া, ভারতীয় নৌবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া প্রভৃতি।