প্রতিবেদন : ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর দিল পর্ষদ। নিয়োগ হবে আরও ৭,৭৩৮টি শূন্যপদে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩,৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে প্রার্থীদের। তবে এই নিয়োগ হবে মেধাতালিকা অনুযায়ী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-২০১৪-র টেটের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের
এই রায় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৩,৯২৯টি পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ১১,৭৬৫টি শূন্যপদের জন্য। ৩,৯২৯ পদে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদেরই নিয়োগ করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর পর্ষদ সভাপতি জানান, বাকি প্রায় সাড়ে সাত হাজার পদে নতুন করে নিয়োগ করা হবে। এই পদগুলির জন্য ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালের টেট-উত্তীর্ণরা সবাই আবেদন জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে এদিন ওএমআর শিট বিতর্ক নিয়ে গৌতম পাল বলেন, পর্ষদ ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলেছে, এটা সত্যি নয়। রিসাইকেল করা হয়েছে। ওএমআর শিটের সব তথ্যই ডিজিটাইজড করে সুরক্ষিত আছে। তাই ওই তথ্য নষ্ট করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তা পুরোপুরি উড়িয়ে দেন পর্ষদ সভাপতি।
আরও পড়ুন-এবারও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব
এদিন পূর্বঘোষণা মতো ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পর্ষদের তরফে ২০১৪ সালের ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জন টেট-উত্তীর্ণর নম্বর প্রকাশ করা হয়। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে তা অসম্পূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ২০১৪ সালের টেট-এ ৮২ পেয়েছেন এ রকম সাত হাজারেরও বেশি সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীর নম্বরও প্রকাশ করেছে পর্ষদ। শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ পর্ষদের তরফে এই দু’টি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে তালিকা হাতে আসার পর দেখা গিয়েছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর থাকলেও নাম নেই। নামের জায়গা ফাঁকা। এই নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, পর্ষদের হাতে এখনও সব তথ্য আসেনি। কিছু তথ্য না থাকার কারণেই এটা হয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের শহিদমঞ্চে রাতে বিজেপির হামলা সকাল থেকে প্রতিবাদ
সব তথ্য হাতে চলে এলে তা তালিকায় তুলে দেওয়া হবে। তালিকা প্রকাশের পর পর্ষদ সভাপতি জানান যে, আদালতের নির্দেশ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পরামর্শ মেনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা আগেই প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি বলেন পর্ষদ, সরকার সবরকম ভাবে কাজ করছে। সম্মাননীয় বিচারপতিরা যে নির্দেশ দিচ্ছেন আমরা তা মেনেই কাজ করছি। একই সঙ্গে তিনি তাঁদের প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।