প্রতিবেদন : তাঁর বিরুদ্ধে খনি লিজ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডির সমনে হাজির হননি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের আশঙ্কা, যেকোনও ছুতোনাতায় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে তড়িঘড়ি দু’টি বিল পাশ করাল ঝাড়খণ্ডের সোরেন সরকার। ইডির সক্রিয়তার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে খনি লিজ সংক্রান্ত দুর্নীতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে হেমন্তকে দোষী সাব্যস্ত করে পদত্যাগের কথা বলা হয়েছে। যদিও রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেননি রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-কেরলে আচার্য পদ থেকে অপসারিত রাজ্যপাল
হেমন্ত সোরেন মনে করছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁর সরকারকে ফেলতে না পেরে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের নির্বাচিনী প্রতিশ্রুতি মতো শুক্রবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হল দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। প্রথম বিলটি ছিল ঝাড়খণ্ড সংরক্ষণ সংশোধনী বিল ২০২২। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হওয়া এই বিলে সংরক্ষণের সীমা ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৭ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তফসিলি জাতিদের জন্য ১২ শতাংশ উপজাতিদের জন্য ২৮ শতাংশ, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যের উন্নাওতে ফের দলিত ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন
১০ শতাংশ আসন আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। দ্বিতীয় বিলটিতে ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিলে। এই বিল পাশ হওয়ার ফলে ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় মানুষ চাকরি থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক ঋণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দুই বিল পাস করিয়ে মানুষের সমর্থন নিজেদের ঝুলিতে টানতে চায় সোরেনের সরকার।