প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় ছয় হত্যাকারীকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার রাজীব গান্ধী হত্যা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে, নলিনী-সহ ছয় জনকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন রাজীব গান্ধীর সব হত্যাকারীকেও মুক্তি দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি বি ভি নাগারত্নের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে সন্ধ্যার পর বাইরে যেতে ভয় মহিলাদের, উদ্বেগ অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে ৩১ বছর পর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে রবিচন্দ্রন, নলিনী, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামপুদুরে এক জনসভায় আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান রাজীব গান্ধী। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারপরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় সাজাপ্রাপ্তরা। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন-বিচারপতি নিয়োগে অকারণ বিলম্ব কেন্দ্রের, ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট
সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার এক আবেদনে জানায়, হত্যাকারীরা ৩০ বছরের বেশি সময় কারাদণ্ড ভোগ করছে। এবার তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দফায় দফায় সাত খুনিকেই মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন সরকার দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ জানানো হয়। রাজ্যপাল তা পাঠান রাষ্ট্রপতির কাছে। তবে রাষ্ট্রপতি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। ফলে পেরারিভালন মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মে মাসে মুক্তি পায় পেরারিভালন। তারপরই মাদ্রাজ হাইকোর্টে মুক্তির আবেদন জানায় নলিনীরা। হাইকোর্ট এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই মুক্তি পাচ্ছে তারা।