আঞ্চলিক ইতিহাসের কথা আমরা জানতে পারি প্রত্ন গবেষকের মাধ্যমে৷ জানা যায় ওই এলাকার বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের থেকেও৷ রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার দেওয়া স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সুন্দরবনের রায়দিঘির মণিনদীর মোহনায় অবস্থিত জটার দেউল নিয়ে লোককথা ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক একটি বই লিখেছেন দেবীশঙ্কর মিদ্যা। কয়েক হাজার বছরের পুরনো এই দেউলের প্রত্নতাত্ত্বিক চর্চার বিষয়বস্তুকে লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর ‘জটার দেউল লোককথা ও প্রত্নতত্ত্ব’ বইটিতে। মণিনদী ও তার আশপাশের এলাকার মৌর্যযুগের সমসময় থেকে সেনযুগ বা তার পরবর্তী সময়ের ইতিহাস তুলে ধরেছেন লেখক৷
আরও পড়ুন-অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের অনবদ্য ফসল
ডায়মন্ড হারবার প্রেস কর্নারে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. সাইদুর রহমান এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষ এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুনকুমার দে। তাঁরা বইটির সার্বিক প্রশংসা করেন ও কীভাবে এই বই বর্তমান প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে তারও জানান দেন।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কবি ও গবেষক চন্দন মিত্র-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কর্নারের সভাপতি কিংশুক ভট্টাচার্য ও সম্পাদক নকিব উদ্দিন গাজি। প্যারালাল প্রেস বইটির প্রকাশক।