প্রতিবেদন : নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ মঞ্চে ভাঙচুর, আগুন লাগানো ও খুনের চেষ্টার কারণে দোষীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর করলেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার এই এফআইআর করা হয়। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তো বটেই, শুভেন্দু অধিকারীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
এই প্রতিবাদী মানুষেরা এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে এককাট্টা হয়েছেন। চোয়াল শক্ত করে তাঁরা বলছেন, শুভেন্দুর মতো বিশ্বাসঘাতক-বেইমানের এখানে কোনও ঠাঁই নেই। নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের করা এফআইআরে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, ১০ নভেম্বর গোকুলনগরের করপল্লিতে শুভেন্দু বাইরে থেকে লোক এনে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক কথা বলে। হুমকি দেয়৷ এরপর রাতের অন্ধকারে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য গোপাল গায়েনকে খুনের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় শুভেন্দুর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
আরও পড়ুন-বিরোধীদের গোপন আঁতাঁতের মুখোশ খুলে গেল প্রকাশ্যে
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার নন্দীগ্রামে ধরনা চলাকালীনই দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, স্বদেশ দাস, শেখ সুফিয়ান ও ডিএসপি-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে দোষীদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তারপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে দল।