সুমন করাতি, হুগলি: বাম আমলে দীর্ঘ সময় ধরে ডানকুনি খালের কোনওরকম সংস্কার হয়নি। ফলে ব্যাহত হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। বৃষ্টির জমা জলে ভাসত ডানকুনি খাল লাগোয়া কৃষিজমি। বড় সমস্যায় পড়তেন কৃষিজীবীরা। সমস্যা দূর করতে ১৫ কিমি দীর্ঘ বৈদ্যবাটি-ডানকুনি খালটির সংস্কার শুরু হবে শিগগিরই। এর জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি জমিতে জমা জলের সমস্যা নিয়ে উত্তরপাড়া ব্লকের পিয়ারাপুর পঞ্চায়েতের জঙ্গল রোডের কৃষকেরা দেখা করেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইয়ের (MLA Arindam Guin) সঙ্গে। জমি থেকে জমা জল বের করার ব্যবস্থা না হলে সামনের মরশুমে কড়াই ও ঢ্যাঁড়স চাষ মুখ থুবড়ে পড়বে বলে বিধায়ককে জানান তাঁরা (MLA Arindam Guin)। শোনামাত্র বিধায়ক হাজির হন ওই জমিতে। দ্রুত জমা জল বের করতে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে ডানকুনি খালের জমা পলি যতটা সম্ভব সরানোর ব্যবস্থা করেন। এর পরই জমিতে জমা জল আস্তে আস্তে নেমে যায়। বিধায়কের এই তৎপরতায় অভিভূত এলাকার কৃষকরা। সবজি চাষি মধু বাগ বলেন, ‘‘আগে অনেকেই বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু কোনওদিন প্রয়োজনে তাঁদের দেখা পাইনি। কিন্তু এবার আমাদের সমস্যা বিধায়ককে জানাতে নিজেই মাঠে নেমে নিকাশি ব্যবস্থার কিছুটা মেরামত করেন তিনি। জমিতে চাষ না করতে পারলে রোজগার বন্ধ হয়ে যেত।’’ বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘‘বাম সরকারের আমল থেকে ডানকুনি খালে সংস্কার হয়নি। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে ওরা ভাবেইনি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই ডানকুনি খাল সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সাময়িকভাবে নিকাশি কিছুটা ঠিক করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় ১৫ কিমি দীর্ঘ বৈদ্যবাটি-ডানকুনি খালটির সংস্কার শুরু হবে।” এ জন্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজের বরাত পাওয়া মহিষাদলের এক সংস্থাকে ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে সেচ দফতর।