সংবাদদাতা, বোলপুর ও সিউড়ি : বোলপুরের মাটিতে পা দিয়েই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার রাতে বললেন, ‘‘বিরোধীরা অনেক কিছু বলে। আমরা বর্তমানে ২১৬। তার পরেও বলে, ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শেষ করে দেব। ওসব কাজের কথা নয়। পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!’’ ফিরহাদের বিশ্বাস, পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। যদি না বিজেপি, সিপিএম উসকানি দেয়, যদি না তারা গন্ডগোল করে। এদিন সিধু কানহু মঞ্চে বেশ কিছু আদিবাসীর হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন মন্ত্রী। এছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে লোনের টাকা, আদিবাসী নৃত্যদলকে মাদল ও লাগড়া সহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র দেন। আদিবাসীদের শংসাপত্রও দেন। ফিরহাদ বলেন, ‘‘সবাইকে বলব, পঞ্চায়েত ভোটে উসকানি দেবেন না, তাহলে হাতের বাইরে চলে যাবে। তখন প্রশাসন আর সামলাতে পারবে না।’’ এভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের একপ্রকার সতর্ক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আসানসোল উপপ্রধান বিলে সই রাজ্যপালের
সোমবার রাতে সপরিবার বোলপুরে আসেন৷ ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি ও জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ। মঙ্গলবার বেলার দিকে বীরসা মুণ্ডার জন্মদিবস অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিউড়িতে৷ অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সে আমাদের ইমপর্ট্যান্ট নেতা। তাঁর সঙ্গে এতদিন যারা কাজ করেছে, সেই জেলা নেতারাই পঞ্চায়েত নির্বাচন করবে। মানুষ আমাদের পাশে আছে। দল যেভাবে কাজ করেছে, আমাদের আশা, পঞ্চায়েতের সব আসন তৃণমূল পাবে। আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ খুব শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।’’ পুলিশকে মন্ত্রী আরও ভালভাবে নজরদারি করতে বলেছেন। সীমান্ত দিয়ে বিরোধী দলের অপরাধীরা অস্ত্র ঢোকাচ্ছে এবং বাংলাকে বদনাম করছে বলেও অভিযোগ ওঁর। কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন, নোটবন্দি করে দেশের সর্বনাশ করেছেন? দেশের অর্থনীতি আজ কোথায় গিয়েছে?