প্রতিবেদন : একদিকে উচ্চপদাধিকারীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক, অন্যদিকে পথে নেমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা— ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এভাবেই এখন দ্বিমুখী লড়াই চালাচ্ছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই তিনি বেরিয়ে পড়লেন পাটুলির ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায়। এটি মডেল ওয়ার্ড। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো মিছিল করে ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চালালেন।
আরও পড়ুন-শূন্যপদে নিয়োগ নেই কেন? দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি
হাঁটতে হাঁটতেই মত বিনিময় করলেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে। মেয়রের সাফ কথা, আইন না মেনে যাঁরা রাস্তায় ময়লা ফেলছেন তাঁরা গণশত্রু। এঁদের চিহ্নিত করুন। বললেন, নজর রাখবেন যাতে কোথাও জল না জমে, ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি না হয়। ডেঙ্গি দমনে পুরসভা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে তাও ব্যাখ্যা করেন মহানাগরিক। বৃহস্পতিবার পদযাত্রার মাঝে মেয়র জানালেন, ডাব বিক্রেতাদের জন্য একটি আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা হবে। গোটা খোলা নয়, ডাব খাওয়ার পরে কাটারি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে অর্ধেক খোলা। পাশাপাশি সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে কোনওরকম আপস নয়। ডেঙ্গি নির্মূলের কাজে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন ও এই রোগ প্রতিরোধে সারা বছর কাজ করে যেতে হবে।
আরও পড়ুন-পথকুকুর নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুর প্রধান ও আধিকারিকদের এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডেঙ্গি প্রতিরোধের বিষয় নিয়ে রাজ্যের পুর প্রধান ও আধিকারিকদের সঙ্গে এদিন নিজের দফতরে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। হাওড়া কর্পোরেশনের মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, পুর কমিশনার ধবল জৈন, বিধানগরের পুরকমিশনার ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ছিলেন পুর সচিব খলিল আহমেদও। বৈঠকে প্রত্যেক পুরসভা ও কর্পোরেশনের সর্বশেষ ডেঙ্গি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে পুরসভাগুলি কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা-ও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন ফিরহাদ হাকিম। অধিকাংশ এলাকাতেই ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী।
আরও পড়ুন-আফতাবের ৫ দিনের হেফাজত, বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা, জলের বিল দেখেই তাজ্জব পুলিশ
এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ বলেন ‘নভেম্বর মাস এলে ডেঙ্গির প্রকোপ আস্তে আস্তে কমে যায়। এই কমার হার আরও দ্রুত যাতে হয় তা দেখতে হবে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গি নির্মূল করতে সারা বছর একইভাবে মানুষকে সচেতন করা ও প্রতিরোধমূলক কাজ লাগাতার চলবে। এই কাজে কোনওরকম ঢিলেমি রাখা যাবে না। পুরপ্রধান ও আধিকারিকদের এই ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।