প্রতিবেদন: ভবানীপুর উপনির্বাচনে মানুষের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা বুঝছেন এ বড় কঠিন ঠাঁই। কিছু বাইরের লোক এনে ধুনুচি নাচের ফটোসেশন করে বা পুলিশের সঙ্গে অকারণ ঝগড়ার নাটক করে কিছু সস্তা প্রচার পেলেও ভোটারদের সামনে পড়লেই কথা ঘুরিয়ে পালাতে হচ্ছে টিবরেওয়াল অ্যান্ড কোম্পানিকে। মানুষ সরাসরি প্রশ্ন করছেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম এভাবে বাড়ছে কেন? কেনই বা রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে? বিজেপি সরকার কেন নীরব দর্শক? ভোটাররা ক্ষোভের সঙ্গে এই কথা তুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে কথা ঘুরিয়ে পলায়ন করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
আরও পড়ুন :প্লাবিত পটাশপুর, সরানো হল ৮০ হাজার মানুষকে
এর জন্য একাধিক এলাকায় তাঁরা ঢুকতে পারছেন না। যে এলাকায় বিজেপি শীর্ষনেতারা এসে বাড়িতে ঢুকে দরদি সাজার নাটক করে গেছিলেন, সেখানেও বিজেপির প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ। জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ করার চেষ্টাও কাজ করছে না। বস্তুত মানুষের মেজাজ বুঝে শুক্রবার সেভাবে দেখাও যায়নি টিবরেওয়ালকে। তার উপর বিজেপি এবং আরএসএসের একটি অংশ এই প্রার্থীকে সমর্থন করছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী ও ঘরের মেয়ের সঙ্গে লড়াই তো দূরের কথা, শুধু রান্নার গ্যাস-সহ জ্বালানির দাম বাড়ার ইস্যুতেই জামানত হারানোর মুখে আছেন টিবরেওয়াল।