অসীম চট্টোপাধ্যায়,আসানসোল: পর্যটকরাই হলেন এখানে প্রাণভোমরা। তাই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন সাজে সেজে উঠছে মাইথন ড্যাম। কেও বলেন ‘মাই কী থান’ বা মায়ের থান থেকেই নাকি ‘মাইথন’ শব্দের উৎপত্তি। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় এই মনোরম জলাধারে নৌবিহারের জন্য অত্যাধুনিক নৌকা নৌচালকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়েছিলেন কুণাল, তবুও অসম্পূর্ণ অডিটোরিয়াম
পাহাড়, জঙ্গল ও নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমের সঙ্গে মহাশক্তিপীঠ দেবী কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের মেলবন্ধন যেন সমগ্র এলাকাটির মাধুর্য অনেকাংশেই বাড়িয়ে তুলেছে। পিকনিকপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন মাইথনকে ঘিরে আবার নতুন করে স্বপ্ন ভেলা ভাসানো হয়েছে এখানকার দামোদরের পবিত্র জলে। গত কয়েক বছর আগেও শুধুমাত্র শীতকালে পিকনিকের মরশুমেই মাইথনে আনাগোনা ছিল ভ্রমণপিপাসু মানুষের। সেই মরশুমী পর্যটনস্থলই এখন বারোমেসে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন-আজ ব্যাঙ্ক ধর্মঘট
দামোদর নদের জল বেঁধে এখানে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম জলাধার। জলাধারটি নির্মাণের সময় যে বিপুল পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছিল, সেই স্তূপাকৃত মাটিই পরবর্তীকালে পাহাড়ের রূপ নিয়েছে। আর সেই পাহাড়েই রয়েছে সরলবর্গীয় নানান বনস্পতির সারি। পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের কাছে জলাধারের নীল জলে নৌকাবিহার করার বাড়তি টান থাকেই। বর্তমানে সেই টানই এলাকার কয়েকশো পরিবারের রুজির ঠিকানা হয়ে উঠেছে। দুর্গাপুজো শেষ হতেই স্থানীয় গ্রামগুলির নৌকাচালকরা তাঁদের নৌকাগুলির মেরামতি থেকে রং করানো শুরু করে দেন।