প্রতিবেদন : রাম-বাম জোটকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল তৃণমূল। রবিবার মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের (Radhakrishna Cooperative Agricultural Development Society Ltd- TMC) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল মুখ থুবড়ে পড়েছে রাম-বাম জোট। পরপর একাধিক সমবায় নির্বাচনে এই জোট ধরাশায়ী হওয়ায় এখন জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই সন্দিহান খোদ রাম-বাম নেতারা। পঞ্চায়েতে এই মডেল নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছিল। কিন্তু প্রথমে পাঁশকুড়া তারপর এদিন মহিষাদলের ফলাফলে বড়সড় ধাক্কা খেল জোট। রাধাকৃষ্ণ সমবায় সমিতির নির্বাচনে (Radhakrishna Cooperative Agricultural Development Society Ltd- TMC) ৭৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি ও সিপিএম মিলে ৭৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু রবিবার ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল নন্দকুমার মডেল ডাহা ফেল। কাজে এল না বামেদের সঙ্গে বিজেপির জোট। ৭৬টির মধ্যে ৬৮টি আসন জিতে সমবায় দখল করল তৃণমূল। জোটের কপালে জুটল মাত্র আটটি আসন। জয়ের পর তৃণমূল সমর্থকরা সবুজ আবির মেখে উল্লাসে মাতলেন। এই জয় নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রাম-বামের এই জোটকে মানুষ আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। মানুষের কাছে এরা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। লোকসভা ভোটেও এই জোট অন্তর্ঘাত করার চেষ্টা করেছিল। সেখানে সিপিএম বিজেপিকে তাদের ভোট বিক্রি করেছিল। কিন্তু বিজেপির মতো দলের সঙ্গে বামেদের এই অনৈতিক জোটকে ভালভাবে নেয়নি, মহিষাদলের ফলাফল সেটাই প্রমাণ করল। এই জয়ের পর তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ওরা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। একে ওকে ধরাধরি দু’একটা আসন জেতার চেষ্টা করছিল। এখন ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিচ্ছে। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এককভাবে এঁটে উঠতে না পেরে, বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস এখানে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু বাংলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষও দুই দলের মুখোশ খুলে দিয়েছে।