প্রতিবেদন : রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ওই প্রকল্পের অপব্যবহার রোখার উপরেও এবার জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা দিতে চাইছে না। আবার কিছু লোক এই প্রকল্পের অপব্যবহার করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-স্বচ্ছ পুর প্রশাসনের স্বার্থে বিল পেশ হল বিধানসভার, পাঁচ পুরসভায় দু’জন করে ডেপুটি মেয়র
প্রয়োজনে দোষী হাসপাতালগুলির লাইসেন্স বাতিল করার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ছোট-বড় কোনও হাসপাতালকেই রেয়াত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান উন্নত করার কথাও বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে ৮ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যেই পাঁচ হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে জেলাশাসকদের প্রতিমাসে জেলা ও ব্লক স্তরের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিন। তারপর স্বাস্থ্যভবনকে জানান।” প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ। এবার দেখার লাইসেন্স বাতিলের এই হুঁশিয়ারিতে কোনও কাজ হয় কি না। অন্যদিকে এদিন বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় গর্ভবতী মহিলাদের রেফার নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।