বিজেপি শাসিত অসমের ট্রিগার হ্যাপি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারলেন পাঁচ গ্রামবাসী, মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী

বিজেপি শাসিত অসমের ট্রিগার হ্যাপি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারলেন পাঁচ গ্রামবাসী। মৃত গ্রামবাসীরা সকলেই মেঘালয়ের বাসিন্দা।

Must read

বিজেপি শাসিত অসমের ট্রিগার হ্যাপি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারলেন পাঁচ গ্রামবাসী। মৃত গ্রামবাসীরা সকলেই মেঘালয়ের বাসিন্দা। মঙ্গলবার পশ্চিম জয়ন্তীয়া পাহাড়ের অসম-মেঘালয় সীমান্তে পশ্চিম কার্বি আংলং-এর জিরিকেন্ডিং থানার অধীনে মুকরাং গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এদিনের ঘটনায় পাঁচ গ্রামবাসীর সঙ্গেই প্রাণ হারিয়েছেন অসমের এক বনরক্ষী। নিহত বনরক্ষীর নাম বিদ্যা সিং লেখতে। সব মিলিয়ে মৃত ৬। এই ঘটনায় অসম মেঘালয় সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। অসম পুলিশ বারবার একই ঘটনা ঘটাচ্ছে নির্মম ভঙ্গিতে। স্বভাবতই বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। অসম রাইফেলস বারবার গুলি চালিয়ে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্বিকার। একবারও আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন ওঠে না কেন, প্রশ্ন সর্বত্র।

আরও পড়ুন-ফের বিরোধী দলনেতাকে কড়া নোটিশ

অসম সরকারের বনরক্ষীরাই গুলি চালিয়েছে বলে খবর। মেঘালয় পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, জঙ্গলে কাঠ কুড়িয়ে একটি ভ্যান গাড়িতে করে গ্রামবাসীরা ফিরছিলেন। কাছেই ছিল অসমের বনরক্ষীরা। তারা গুলি করে গাড়ির টায়ার ফুটো করে দিলে সেটি দাঁড়িয়ে পড়ে। গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীরা প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। এরপরেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে অসম বনরক্ষীদের বিবাদ, সংঘর্ষ এবং নির্বিচারে গুলি।
ঘটনাস্থলে চার জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যান আরও ২ জন।
অন্যদিকে অসমের কারবি আংলং জেলার পুলিশ সুপার ইমদাদ আলির দাবি, গ্রামবাসীরা কাঠ চুরি করে ফিরছিল। সে সময় তাঁদের বাধা দেয় বনরক্ষীরা। তারপরেই সংঘর্ষ এবং গুলি। কিন্তু প্রশ্ন হল, সংঘর্ষ থামাতে কেন গুলি চালাতে হল? কেন তাদের গ্রেফতার করা যায়নি? কেন পুলিশ আত্মরক্ষার নামে প্রথমেই বারবার গুলি চালাল?

আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতার সঙ্গে লড়াই তুঙ্গে, ডিসেম্বর ধামাকা উড়িয়ে দিলেন রাজ্য সভাপতি

এদিনের ঘটনার সঙ্গে গত বছর ঘটে যাওয়া নাগাল্যান্ডের মন জেলায় অসম রাইফেলসের সংঘর্ষের মিল আছে। সেখানেও কয়লা খনির শ্রমিকেরা কাজ শেষে গাড়ি করে বাড়ি ফেরার সময় অসম পুলিশ জঙ্গি ভেবে তাঁদের দিকে গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। বারবার সেই অসম রাইফেলস। একের পর এক মৃত্যুর পরেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্বিকার। অসম বিজেপি শাসিত রাজ্য বলেই কি এই নীরবতা? বারবার রক্তপাত ও মৃত্যুর পরেও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। ব্যবস্থা নেয় না কেন্দ্র। কেন্দ্রের লক্ষ্য শুধু অবিজেপি রাজ্যগুলি।

আরও পড়ুন-নীল হাঁড়িতে সাদা রসগোল্লা

এই মর্মে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট বার্তায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন ‘ মেঘালয়ের মুকরোহে গুলি চালানোর মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আমি গভীরভাবে মর্মাহত, যাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংঘর্ষে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করি যেন শান্তি বিরাজ করে সর্বত্র।’

 

Latest article