প্রতিবেদন : ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে মা ও ঠাকুমার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ঠাকুমার দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হল পাঁচ বছরের জীবিত শিশু। বুধবার দুপুরে একটি ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক মহিলার দেহ। ধ্বংসস্তূপের তলায় আর কেউ চাপা পড়ে আছে কি না তা জানতে জোর গতিতে চলছিল উদ্ধারকাজ। সন্ধ্যা নাগাদ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হয় এক বয়স্ক মহিলার দেহ। মৃত মহিলার পাশেই হাত-পা গুটিয়ে পড়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। কিন্তু তখনও অবাক হওয়ার পালা বাকি ছিল। উদ্ধারকারীরা দেখেন শিশুটি জীবিত আছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কোনওরকম খাবার বা জল ছাড়াই ওই শিশুটি ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় তিনদিন আটকেছিল। জাভা শহরের সিয়ানজুরে উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর নাম আজকা।
আরও পড়ুন-গুজরাত ভোটে বিদেশি প্রচার! বিজেপির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল
উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় উদ্ধারকারীরা। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সে তার মা ও ঠাকুমার দেহ শনাক্ত করে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দল সিয়ানজুরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুজেনাংয়ে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে কোনওরকমে আজকা নামে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করছে। জ্যাকসন নামে এক উদ্ধার কর্মী জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই শিশুটির মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-বিজেপির মিথ্যাচার ও কুৎসার জবাবে মাঠে তৃণমূল কংগ্রেস
ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, নিচে এখনও কেউ চাপা পড়ে আছে। তাই তাঁরা আরও দ্রুত উদ্ধারকাজ চালান। তখনই পাওয়া যায় আজকার ঠাকুমার দেহ। ঠাকুমার দেহের পাশেই পড়েছিল আজকা। ওই পাঁচ বছরের ওই শিশুর বেঁচে থাকা এক অলৌকিক ব্যাপার। দেওয়ালের নিচের ফাঁকে আটকে থাকার কারণে আজকা প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। সোমবারের এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ২৮১ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে।